নিষেধ অমান্য করে টাঙ্গুয়া হাওরে মাছ শিকার
স্থানীয়রা জানান, টাঙ্গুয়া হাওরের বিয়াসখালী বিলের পারমিট গ্রহণকারী হাওর ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রীয় কমিনিটি সদস্য উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ছিলানী তাহিরপুর গ্রামের আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে চৌরাজেলেরা সরকারি শর্ত ও মৎস্য সংরক্ষণ আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বিলের পানি সেচ দিয়ে শুকিয়ে প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার মাছ আহরণ করে। শনিবার বিকালে সংবাদ পেয়ে টাঙ্গুয়া হাওরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে আব্দুল আলিম সহ তার সঙ্গীয় চৌরা জেলেরা সেচকাজের যাবতীয় সরঞ্জামাদি ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাহিরপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন বলেন, সরকারের নিয়মনীতি অমান্য করে এভাবে বিল শুকিয়ে মাছ ধরে যারা বিলের নিচে থাকা কই, মাগুর, শিং, বাইম, পুঁটি, টেংরাসহ দেশীয় প্রজাতির ছোট-বড় মা-মাছ ও মাছের ডিম নষ্ট করছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান তিনি। অভিযুক্ত আব্দুল হালিম বলেন, বিয়াসখালী বিল সেচে মাছ ধরা হয়েছে সত্য, তবে তার লোকজন বিল সেচে মাছ ধরেনি। তিনি বলেন, মাছ ধরার নিয়মানুযায়ী তার লোকজন বিলে মাছ ধরছে। তাহিরপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী বলেন, বিল সেচ দিয়ে মাছ ধরা যাবে না। কেউ এ ধরনের কাজ করে থাকলে তদন্দ্রক্রমে তার বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।