শ্রীলংকা একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনে এবং টস জিতে প্রথমে ব্যাট করেও ভাগ্যের সহায়তা পায়নি। সিরিজ আগেই ৩-০ তে হেরে বসেছে তারা। খানিকটা সম্ভ্রম রক্ষার চেষ্টাও সফলকাম হল না। আবারও নিষ্প্রভ ব্যাটিং ডোবাল তাদের। ৩৮ বল বাকি থাকতে এবার ১৭৩ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলংকা। আইসিসি ওডিআই বোলিং র‌্যাংকিংয়ে সদ্য শীর্ষে উঠে আসা পাকিস্তানি পেসার হাসান আলী তিন উইকেট নেন ৩৭ রানে। দুটি করে উইকেট পান শাদাব খান ও ইমাদ ওয়াসিম। লাহিরু থিরিমান্নে যা একটু প্রতিরোধ গড়েন ৯৪ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে। ১৭৪ তাড়া করতে নামা পাকিস্তান ধাক্কা খেয়েছিল ৩৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে। ৫৮-তে হয়ে যায় তিন উইকেট। এরপর আর কোনো বিপর্যয় ঘটতে দেননি এই সিরিজে রানের বন্যা বইয়ে দেয়া বাবর আজম ও শোয়েব মালিক।  এ দু’জন চতুর্থ উইকেটে ১১৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে চতুর্থ ওডিআইতে সাত উইকেটে পাকিস্তানকে জিতিয়ে দেন ৬৬ বল বাকি থাকতে। দু’জনই অপরাজিত থাকেন ৬৯ রানে। ছয় মেরে জয় এনে দেন মালিক। শুক্রবার শারজায় আরেকটি একপেশে ডে-নাইট ম্যাচ জিতে পাকিস্তান সিরিজে এগিয়ে গেল ৪-০ তে। শ্রীলংকার সামনে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার শঙ্কা। ওডিআইতে পাকিস্তানের এটি টানা অষ্টম জয়। আর শ্রীলংকার টানা এগারোতম হার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলংকা ১৭৩/১০, ৪৩.৪ ওভারে (ডিকভেলা ২২, চান্দিমাল ১৬
থিরিমান্নে ৬২, ধনঞ্জয়া ১৮, লাকমাল ২৩*। ইমাদ ওয়াসিম ২/১৩
হাসান আলী ৩/৩৭, শাদাব খান ২/২৯)।
পাকিস্তান ১৭৭/৩, ৩৯ ওভারে (ফখর জামান ১৭, বাবর আজম ৬৯* শোয়েব মালিক ৬৯*। গামাগে ১/২৭, ধনঞ্জয়া ১/২৯, প্রসন্না ১/৪৪)।
ফল : পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : বাবর আজম (পাকিস্তান)। এএফপি/ওয়েবসাইট।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn