প্রত্যাহার হতে পারে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্বের আইন
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব প্রদানের পরিবর্তিত আইন প্রত্যাহার করার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির সংসদীয় তদন্ত কমিটি। গত ২০ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল অভিবাসীদের অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব প্রদানের আইনে বড়সড় কয়েকটি পরিবর্তনের ঘোষণা দেন।সেই ঘোষণার পর থেকেই পরিবর্তিত এ আইনের ব্যাপারে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এ প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির পরামর্শ কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে অভিবাসীদের। গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বহুজাতিক সংস্কৃতি শক্তিশালীকরণের উদ্দেশ্যে একটি সংসদীয় কমিটি নির্বাচন করে দেশটির সিনেট।অস্ট্রেলিয়ার বহুজাতিক অভিবাসীদের সামাজিক মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতেই এ কমিটি গঠন করা হয়। এই সংসদীয় কমিটিই সরকারের নাগরিকত্ব আইনে আনা বিভিন্ন পরিবর্তন বাতিল করার পরামর্শ দিয়েছে। দেশটির বহুজাতিক আইনের আওতায় নাগরিকত্বে আইনে আনা পরিবর্তনগুলো গ্রহণযোগ্য নয় জানিয়েছেন সংসদীয় কমিটি।কমিটির প্রধান রিচার্ড ডি ন্যাটেলে এ প্রসঙ্গে বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে ঘৃণামূলক নেতিবাচক আচরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই নাগরিকত্বের আইনে কঠোরতা বাতিলের পরামর্শ দেয়া হলো।
নাগরিকত্ব প্রদানের নতুন আইনে অভিবাসীদের অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে হলে এক বছরের পরিবর্তে চার বছর অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হবে বলে বলা হয়। এছাড়া ইংরেজি ভাষার দক্ষতা হতে হবে অনেক বেশি। যা কিনা আইইএলটিএস এ ন্যূনতম ৬ স্কোরের সমমান।সংসদীয় কমিটি এমন পরিবর্তনগুলোকে টার্নবুল সরকারের কঠোরতা হিসেবেই চিহ্নিত করেছে। তবে ভাষার দক্ষতা প্রমাণে আবশ্যিক শর্ত সবার জন্য বাধ্যতামূলক করার আইনে কমিটি দ্বিমত করলেও ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানায় কমিটি। তবে সে পরীক্ষা মৌলিক দক্ষতা যাচাইয়ের হওয়া উচিত বলে মনে করে সংসদীয় কমিটি। তবে সরকারি দলের কেউই এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।