বিন্দু তালুকদার :: পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন,‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরের মানুষকে ভালবাসেন, তিনি হাওরের উপর দিয়ে উড়াল সড়ক করে মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটাতে চান। আমরা কেবল ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা নয়, প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।’ তিনি বলেন,‘উন্নয়নের স্বার্থে সুনামগঞ্জের সকল মানুষকে এক থাকতে হবে। কোন আঞ্চলিকতা নয়, সুনামগঞ্জ শহর থেকে স্থাপনায় স্থাপনায় আমরা শান্তিগঞ্জ-পাগলায় যুক্ত করতে চাই। আমরা সুনামগঞ্জি, এটাই আমাদের বড় পরিচয়, একতাবদ্ধ থাকবেন, কোন উস্কানিতে কেউ কান দেবেন না। বেঁচে থাকলে বদলে দেব সুনামগঞ্জকে।’ পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন,‘সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার যেখানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হচ্ছে, সারা জেলার মানুষের সুবিধাজনক স্থান এটি। সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের যে স্থানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচন করে প্রস্তাব করা হয়েছে, সেটিও সকলের মধ্যবর্তী স্থানে এবং সবচাইতে উঁচু জমি। স্থান নিয়ে বিভাজনের কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ হাওর ও কৃষি নির্ভর জেলা এখানে কৃষি ইনস্টিটিউট, মাছ সুরক্ষার জন্য নানা ধরণের প্রকল্প আমরা শীঘ্রই গ্রহণ করবো। ছাতক-সুনামগঞ্জ রেল লাইন হবে।’ তিনি সকলের কাছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া চেয়ে তিনি দীর্ঘ জীবন লাভ করলে দেশের কোন অঞ্চলের মানুষ অবহেলিত থাকবে না। বুধবার দুপুরে জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ মোড়ে ছাত্র-জনতার বিশাল সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম শিপনের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নানের রাজনৈতিক সহকারি এম.এ মান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক ফয়জুর রহমান, উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি রয়েল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তালুকদার প্রমুখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল আলম নিক্কু, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হেকিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি তহুর আলী, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাছিত সুজন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রাণী তালুকদার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার, রফিক খান, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ মিয়া, পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ আমীন, পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক, পুর্ব পাগলা ইউপি আক্তার হোসেন, পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, পূর্ব বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নুর কালাম, দর্গাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মনির উদ্দীন, শিমুলবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতু ,উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সুজন, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ফজলে রাব্বী স্মরন, জেলা কাজী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুস সামাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, প্রচার সম্পাদক কাজী নুরুল আজিজ চৌধুরী ও উপজেলা সমিতি সভাপতি কাজী আইয়ূব আলীসহ নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছমির উদ্দীন সালেহ, প্রচার সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে মিছিল সহকারে এসে হাজার হাজার মানুষ যোগদান করেন। জেলার অন্য উপজেলা থেকে মিছিল সহকারে আসেন ছাত্র-জনতা।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৮৫ বার