প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন খালেদা জিয়া!
মুক্তির মেয়াদকাল বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করবে খালেদা জিয়ার পরিবার। এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি চিঠিও দেয়া হবে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী মাসেই খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করবে খালেদার পরিবার। সেজন্য অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ খালেদা জিয়ার চার আইনজীবী তার পরিবারের সঙ্গে সমন্বয় করে মুক্তির মেয়াদকাল বাড়ানোর আবেদনের একটি খসড়া প্রস্তুত করেছেন। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এ আবেদন পৌঁছে দেয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার জন্য তার পরিবারের সদস্যরা আবেদন করবেন বলে জানা গেছে। এসময় খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি চিঠিও দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার পরিবার নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে সরকারের ক্ষমতাশালী উচ্চপর্যায়ে, যারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খালেদার পরিবারের যোগাযোগের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র এ খবর জানালেও কৌশলগত কারণে দায়িত্বশীল কেউ বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মুখ খুলছেন না।
এদিকে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, মুক্তির পর তিনি এখন পর্যন্ত কোনো শর্ত ভঙ্গ করেননি। তাই এ ব্যাপারে সরকার কঠোর হবে না বলে আমরা মনে করি। তার বিদেশে চিকিৎসা প্রয়োজন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার এখনো তেমন উন্নতি হয়নি। চলাফেরাও করতে পারছেন না। মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আবেদন তো করতেই হবে। তবে কখন করব সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২৫ মাসের মাথায় গত ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মানবিক দিক বিবেচনায় ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিতে শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় ওঠেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এখন সেখানেই আছেন তিনি। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত খালেদা ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। প্রথমে তাকে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হলেও গত বছর ১ এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। স্বাস্থ্যগত অবস্থার অবনতির কথা উল্লেখ করে তার পরিবারের পক্ষ থেকে এর আগে দু’বার জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু দুইবারই তা নাকচ হয়ে যায়। পরবর্তীতে বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়।