‘ফখরুল সাহেব ঝানু রাজনীতিক হতে পারেন, কিন্তু…’
বার্তা ডেস্ক :: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব ঝানু রাজনীতিক হতে পারেন, কিন্তু ভালো চিকিৎসক না। তিনি কীভাবে বলবেন খালেদার শরীরের অবস্থা কেমন।’ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দুপুর ১২টায় আওয়ামী লীগ খুলনা বিভাগীয় যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ফখরুলকে নিচে নামাতে চান না মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনি ফোন করেছেন সেটি আমি বলেছি। এটিকে মিথ্যা বলার কারণ কী আমি বুঝলাম না। প্রমাণ যদি দিতে হয় তা হলে প্রমাণ দেয়ার ব্যবস্থা আছে আমার কাছে। আমি উনাকে নিচে নামাতে চাই না। কিন্তু উনি কেন নিচে নামছেন সেটিই বুঝতে পারছি না। তিনি বলেন, অসত্য কথা কেন বলবেন? তিনি কি প্রমাণ করতে চান যে ফোন করেননি? চাইলে প্রমাণ দিতে পারব, আমার কাছে রেকর্ড আছে। আমি এত নিচের রাজনীতি করতে চাই না। ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করতে মির্জা ফখরুল আমাকে ফোন করেছিলেন। এখন তিনি বলছেন ফোন করেননি। এর আগে শুক্রবার ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থতার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করতে তাকে টেলিফোন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তার কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার প্যারোলে আবেদনের বিষয়টি তার পরিবার দেখছে। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার দুপুরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সব কিছুতেই রাজনীতি করতে চায়। তাই তাদের নেত্রীর মুক্তি নিয়েও রাজনীতি করছে। খুলনা বিভাগীয় এই যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, অসিম কুমার উকিল, খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিপ্লব বড়ুয়াসহ আওয়ামী লীগের জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে নেতারা। সৌজন্যে : যুগান্তর