বন্ধুক যুদ্ধে ডাকাত ঝিলকী নিহত ॥
জাকারিয়া চৌধুরী/ইমদাদুল হোসেন খান:
বানিয়াচঙ্গের শিবপাশা রোডের আঞ্জন দিঘীর পাড় এলাকায় ডাকাতদল ও পুলিশের মধ্যে বন্ধুকযুদ্ধে কুখ্যাত ডাকাত সাইফুল ইসলাম ঝিলকী (৩০) নিহত হয়েছে। এসময় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে ১টি পাইপগান, ৪টি রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। নিহত ডাকাত ঝিলকী বানিয়াচঙ্গের মাতারিটোলা গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, বুধবার দিবাগত মধ্য রাতে বানিয়াচং থানা পুলিশ উপজেলার ইছুবপুর থেকে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ডাকাত সর্দার সাইফুল ইসলাম ঝিলকী ও তার সহযোগী মন্তাজ মিয়াকে গ্রেফতার পুলিশ। এসময় ডাকাত সর্দারসহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হলেও অন্যান্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে ডাকাত সর্দার ঝিলকীর দেওয়া তথ্যমতে একই উপজেলার বানিয়াচং-শিবপাশা সড়কের আঞ্জন নামক স্থানে রাত ৩ টা ২০মিনিটে অন্যান্যদের ডাকাতদের ধরতে গেলে তাদের সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে ডাকাত সর্দার সাইফুল ইসলাম জিলকীসহ পুলিশ সদস্য এএসআই প্রদ্বীপ কুমার দাস, এএসআই হারুন, এএসআই বিশ্বজিৎ ও এএসআই কানন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় জিলকীকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি পাইপগাণ, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, গুলির ৮টি খোসা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। এদিকে, এ ঘটনায় ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন, বানিয়াচং উপজেলার আতুকুড়া গ্রামের আব্দুল সাত্তারের পুত্র আজম মিয়া (৩৫) ও একই উপজেলার পাহারপুর গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র মনু মিয়া (৩৩) ও যাত্রাপাশা গ্রামের কুদ্দুছ মিয়ার পুত্র মন্তাজ মিয়া (৪০)। এব্যাপারে বানিয়াচং-আজমীরীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৌলেন চাকমা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহত ডাকাত সাইফুল ইসলাম জিলকী একজন কুখ্যাত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে ১টি হত্যা মামলা, ৪টি ডাকাতি মামলাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এদিকে, ডাকাত সর্দার ঝিলকীর নিহতের ঘটনায় পুরো বানিয়াচং বাসির মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে। স্থানীয়দের ধারণা এতে করে ওই উপজেলায় ডাকাতিসহ চুরি, ছিনতাই কমে যাবে। এছাড়াও ঝিলকীর নিহতের ঘটনায় এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসি।