বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ঘুমের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ অবস্থায় জারিন দিয়াকে গতকাল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর ‘পাকস্থলী পরিষ্কার’ করা হয়। হাসপাতালের ৫০২ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি ভর্তি ছিলেন। আজ দুপুরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে পাঁচজনকে বহিষ্কারের বিষয়টিকে ‘প্রহসন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অংশের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদন্তের নামে একটি প্রহসন হয়েছে। আমরা আশা করব, আমাদের যেসব আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, সেগুলো যেন এই তদন্তের মতো না হয়ে বাস্তবসম্মত ও গ্রহণযোগ্য হয়।’ সাময়িক বহিষ্কৃত জারিন দিয়া নিজে মধুর ক্যানটিনের ঘটনায় আহত হয়েছেন দাবি করে সাঈফ বাবু বলেন, ‘ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে জারিনকে বহিষ্কার করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।’ তবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলছেন, ‘শতভাগ সঠিকভাবে’ তদন্ত করেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদন্ত কমিটি যে সুপারিশ দিয়েছে, তার ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করিনি।’
ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি প্রকাশের প্রায় ১০ মাস পর গত সোমবার ঘোষণা করা হয় সংগঠনের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ-না-পাওয়া ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করতে যান। এ সময় সংগঠনের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে কয়েকজন নারী নেত্রীসহ ১০-১২ জন আহত হন। মধুর ক্যানটিনের সেই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করে ছাত্রলীগ। কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কমিটি গত শনিবার রাতে প্রতিবেদন দেয়।