বাংলাদেশকে পানি দিতে পারব না : মমতা
দুই দেশের সরকারকে উদ্দেশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘আমার গাজলডোবার ওপর অনেকের নজর আছে দেখছি। চার বছর ধরে গাজলডোবা করেছি। তিন হাজার কোটি রুপির প্রজেক্ট। গাজলডোবাই যদি তোমাদের দিয়ে দিই, সব কাজ যদি বন্ধ হয়ে যায়, তবে শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি পানি পাবে না।’ ফারাক্কা ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘২৫ বছর আগে ফারাক্কা থেকে বাংলাদেশকে যখন পানি দেয়া হলো, তখন বলা হলো ৭০০ কোটি রুপি দেয়া হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই রুপি তো দিলই না, উল্টো কয়েকশ গ্রাম পানির তলায় তলিয়ে গেল।’ এ দিনের সভায় ছিটমহল প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, ‘ছিটমহলে বাংলাদেশের ৭ হাজার একর জমি ছিল, আর বাংলার ১০ হাজার একর জমি ছিল। কিন্তু বাংলাদেশকে ভালোবাসি বলেই আমরা পেয়েছি ৭, দিয়েছি ১০।’ প্রসঙ্গত, রাজ্যের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে, এ মনোভাব নিয়ে ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরসঙ্গী হননি মমতা। এরপর হাজার চেষ্টা করেও পুরনো অবস্থান থেকে তাকে নড়ানো যায়নি। সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে তার সঙ্গে একান্ত বৈঠকেও তিস্তার পানি বণ্টনে সায় দেননি মমতা। পরিবর্তে বিকল্প প্রস্তাব দেন তিনি। যদিও সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি শেখ হাসিনা। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে শেখ হাসিনার সফর শেষের পর রাজ্যের প্রায় প্রতিটি সভা থেকেই তিস্তা ইস্যুতে সরব হচ্ছেন মমতা। তার পক্ষে কোনোভাবেই তিস্তার পানি দেয়া সম্ভব নয়, প্রতিদিনই নতুন করে সে কথা জানিয়ে দিচ্ছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।