বাংলাদেশের লঙ্কানদের নিয়েই ভয়ে শ্রীলঙ্কা!
বাংলাদেশ দলে তিনজন শ্রীলঙ্কান। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবশ্যই প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তার হাত ধরেই অন্য দুজনার বাংলাদেশ দলে আসা। কিন্তু হাথুরুর হাত ধরেই বদলে যাওয়া মানসিকতার এক বাংলাদেশকে চিনেছে ক্রিকেট বিশ্ব। শ্রীলঙ্কার মাটিতে বাংলাদেশ দলের সাথে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে লঙ্কানদের মাথাব্যথার কারণ প্রতিপক্ষ শিবিরের স্বদেশিরা। তবে এই সিরিজের লঙ্কাপতি বা অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথের রাজ্যের ভয় হাথুরুসিংহেকে নিয়ে। হাথুরুর নেতৃত্বে দীর্ঘদিন খেলেছেন বলে এই মানুষটির ভাবনা-চিন্তা ও সামর্থ্য সম্পর্কে খুব জানেন হেরাথ।
হেরাথ কয়েকদিন পর ৩৯ এ পা দেবেন। নিয়মিত অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের ইনজুরির কারণে তিনি টেস্ট অধিনায়ক। বাঁ-হাতি স্পিনার ভয়ঙ্কর বোলার। তাকে নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা টাইগারদের। কিন্তু উল্টো বাংলাদেশ দল নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা শোনালেন হেরাথ। হাথুরু শ্রীলঙ্কার সাবেক ওপেনিং ব্যাটসম্যান। তার সাথে হেরাথ মুর স্পোর্টস ক্লাবে একসাথে খেলেছেন বহুবছর। হাথুরুর পরিকল্পনা সম্পর্কে তাই স্পষ্ট জ্ঞান হেরাথের।
হেরাথ মঙ্গলবার প্রতিপক্ষ কোচ হাথুরুকে নিয়ে বললেন, ‘দীর্ঘদিন তিনি মুরকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার অধীনে বহু বছর খেলেছি আমি। খুব গোছানো মানুষ তিনি। কাউকে সুযোগ দেন না। প্রত্যেকটা মুহূর্তের খেয়াল থাকে।’ এক অর্থে হাথুরু তো হেরাথের মেন্টরও ছিলেন। বাংলাদেশ দলে ব্যাটিং কোচ হিসেবে আছেন শ্রীলঙ্কার আরেক সাবেক ব্যাটসম্যান থিলান সামারাবিরা। ট্রেনার লঙ্কান মারিও ভিল্লাভারায়ন।
টাইগারদের নিয়ে তারা কেন খুব সতর্ক সেটা হেরাথের কথা শুনলে খুব বোঝা যায়, ‘হাথুরুসিংহে যেভাবে ক্রিকেটটাকে দেখেন সেটা আমার খুব কাজে এসেছে। ওদের শিবিরে অনেক শ্রীলঙ্কান। আমাদের দল ও আমাদের খেলা সম্পর্কে তাদের ধারণা বেশি। বাংলাদেশ দলের দারুণ উন্নতি করিয়েছে তারা। বিশেষ করে বলতে হবে হাথুরুসিংহের কথা। এই কারণেই আমি বলছি এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং সিরিজ হবে। অন্য কোচদের কাছে আমাদের ব্যাপারে যতোটা তথ্য থাকে তার চেয়ে অনেক বেশি আছে ওদের কাছে।’
শ্রীলঙ্কার সাথে অবশ্য টেস্টে কখনো পেরে ওঠেনা বাংলাদেশ। ১৬ টেস্টে জিতেছে। ২টি ড্র হয়েছে। এবার দুই টেস্টের সিরিজের প্রথমটি ৭ মার্চ শুরু হবে গলে। আর দ্বিতীয় টেস্ট ১৫ মার্চ শুরু হবে কলম্বোতে।