বাংলাদেশ টেস্টে দুর্নীতি, দুই ক্রিকেট কর্মকর্তা বরখাস্ত
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ টেস্টের সময় ম্যাচের ক্যাটারারদের কন্ট্রাক্ট দেওয়া থেকে টিকিটের বিলিবন্টন আর্থিক দুর্নীতি ছিল সব ক্ষেত্রেই। এমন কী, ড্রিঙ্কসের সময় ভিরাট কোহলি বা সাকিব আল হাসানরা যে ট্রলি থেকে পানীয় নিয়ে তৃষ্ণা মিটিয়েছেন, সেই বরাত দেওয়ার ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে।
সাবেক টেস্ট তারকা ও ভারতের এককালের নামী অফ-স্পিনার আরশাদ আয়ুব এই বরখাস্তের সিদ্ধান্তে স্তম্ভিত। তিনি হায়দ্রাবাদের অত্যন্ত ধনী ও সম্ভ্রান্ত একটি ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান। এই তহবিল তছরুপের অভিযোগ তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না।
তিনি বলেছেন, ‘এত বছর ধরে আমি হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গে যুক্ত আছি, কেউ বলতে পারবে না সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে আমি একটা পয়সাও সরিয়েছি। আমার বিরোধী গোষ্ঠী সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ফাঁসাতে চাইছে।’
সংস্থার সাবেক সচিব কে জন মনোজ অবশ্য অভিযোগের জবাবে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। তাকে এদিন বারবার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি, অথবা কেটে দিয়েছেন।
অথচ বাংলাদেশ টেস্টের সময় এই মি. মনোজই ছিলেন হায়দ্রাবাদ ক্রিকেটের প্রধান মুখ। সফররত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে ফটো-সেসনই হোক, কিংবা বাংলাদেশ থেকে আসা ক্রিকেট অনুরাগীদের সংবর্ধনা, সব সময়ই তাকে দেখা গেছে একেবারে হাসিমুখে সামনে থাকতে। হায়দ্রাবাদ যে এই ঐতিহাসিক টেস্ট আয়োজন করতে পেরে কত গর্বিত, অক্লান্তভাবে তিনি সেই ‘বাইট’ দিয়ে গেছেন দেশি-বিদেশি মিডিয়ার সামনে।
সেই স্মরণীয় টেস্ট শেষ হওয়ার পর আড়াই মাসও গড়াল না, কে জন মনোজ এবং আরশাদ আয়ুব টেস্ট আয়োজনের এই দুই প্রধান স্তম্ভকে বিদায় নিতে হলো চুরির দায় মাথায় নিয়ে। হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সূত্রগুলো বলছে, পুরনো আরও নানা কেলেঙ্কারির তদন্ত হচ্ছে। তাতে বিদায় নিতে হতে পারে আরও অনেককেই!