বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যা বলার ভালো একটা আর্ট আছে: প্রধানমন্ত্রী
বার্তাডেক্সঃঃবিডিআর বিদ্রোহের পেছনে কারা ছিল? আমরা তো কেবল সরকার গঠন করেছি। এটা কোনোদিনই যুক্তিযুক্ত না, যে আমরা সরকার গঠন করেই এমন একটা ঘটনা ঘটাবো, দেশে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক। কাজেই যারা তখন ক্ষমতায় আসতে পারে নাই তারাই তখন তাদের পেছনে ছিল এতে কোন সন্দেহ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যা বলার ভালো একটা আর্ট আছে। রোববার দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে সাহারা খাতুন ও ইসরাফিল আলমের ওপর আনিত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা একথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অত্যান্ত সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন সাহারা খাতুন। তার সাহসী ভূমিকা দেখেছি বিডিআর বিদ্রোহের সময়। আমরা সরকার ঘটনের মাত্র ৫২ দিনের মধ্যে বিডিআর এর ঘটনা ঘটল। বিডিআর এর ওই ঘটনায় যে সেনা অফিসাররা মারা যায় তাদের মধ্যে ৩৩ জন আওয়ামী লীগ পরিবারের। এমনকি বিডিআর ডিজি এই পার্লামেন্টের সংসদ সদস্য লুৎফর হাই সাচ্চুর আপন চাচাতো ভাই ছিলেন।
দেখা গেছে, আমাদের আওয়ামী পরিবারের এমনকি আব্দুল মালেক উকিল সাহেবের নাতি অনেকেই সেখানে মৃত্যুবরণ করে। সেসময় ঘটনা ঘটার সাথে সাথে আমাদে চেষ্টা ছিল এটাকে থামানো। আমাদের যারা অফিসার আছে তাদের রক্ষা করা তাদের পরিবারগুলি রক্ষা করা। আমরা যখন সেখানে সেনাবাহিনী নিয়োগ করলাম সেনাবাহিনী নামার সাথে সাথে তাদের গুলিতে সেখানে কয়েকজন সেনা সদস্য মারা গেল। তিনি বলেন, বিডিআর এর ঘটনাটিছিল একটা অস্বাভাবিক ঘটনা। আগের দিন গেলাম একটা ভাল পরিবেশ, পরেরদিন সেখানে এধরণের একটা ঘটনা ঘটল। এর পেছনে কারা আছে? আমরা তো কেবল সরকার গঠন করেছি। এটা কোন দিনই যুক্তিযুক্ত না যে আমরা সরকার গঠন করেই এমন একটা ঘটনা ঘটাবো, দেশে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক। কাজেই যারা তখন ক্ষমতায় আসতে পারে নাই তারাই তখন তাদের পেছনে ছিল এবং তাদের সাথে ওই ১/১১ যারা সৃষ্টি করেছিল তাদের ধারণা ছিল নির্বাচনটা একটা আনপার্লামেন্ট হবে কিন্তু যখন দেখল আওয়ামী লীগ মেজরিটি নিয়ে চলে আসল তখন সবকিছু নসাৎ করবার অপচেষ্টা যাদের ভেতর ছিল তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এক দিন না একদিন এর সত্যতাটা বের হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যা বলার ভালো একটা আর্ট আছে। যেমন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তাদের দলের লোক বলল আমি নিজেই নাকি গ্রেনেড নিয়ে নিজেই গ্রেনেড মেরেছি এবং তা ব্যাপকভাবে প্রচার করে ফেলল। ঠিক বিডিআর এর ঘটনা যখন ঘটল তখন তারা ওইভাবেই অপপ্রচার শুরু করল। কিন্তু এটা কোন দিনই কেউ এই যুক্তি খুঁজে পাবে না। সাহারা আপাকে দেখেছি সাহসে ভর করে সেখানে গেছে। বিডিআরদের অস্ত্রসমার্পন করতে বলেছে, রাতের বেলায় অনেক সাহস করে সেখানে গিয়ে অস্ত্রসমার্পণ করতে বলেন এবং তারা করেন। সেদিন অনেক আর্মি পরিবারকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। উদ্ধার করে আনতে গিয়ে জীবনের ওপর হুমকি বয়ে এসেছে। আমি তখন যমুনায় থাকি তখন বলল নেত্রী কোনমতো জীবনটা নিয়ে বেঁচে এসেছি। তার ওপরেও হামলা করতে গিয়েছিল ওরা। এই অবস্থায় দু:সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন সাহারা আপা।