বিশ্বব্যাংকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রবার্টকে অপদার্থ বললেন অর্থমন্ত্রী
বিশ্বব্যাংকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলিককে অসম্ভব বাজে লোক, অপদার্থ ও বদমাইশ বললেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, চাকরির শেষদিনে সেই অপদার্থ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন, পদ্মা সেতুতে কোনো এক কনসালট্যান্টকে নিয়োগের জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ঘুষ কেউ পায়নি, কিন্তু ঘুষ নেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে। এই বলে তিনি কোনো অনুমোদন ছাড়াই পদ্মা সেতুর ঋণ বাতিল করে দেন। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০১৮-এর সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতাদের সম্মাননা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু হবে বলে জানান তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা সেই সময় বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কারণ বিশ্বব্যাংক বড় দাতা সংস্থা। বাংলাদেশের জন্মলগ্নে ডেভেলপমেন্ট ও রেভিনিউসহ পুরো বাজেটের অর্থ দিত বিশ্বব্যাংক। এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, আগে জাতীয় আয়ের ৯ থেকে ১০ শতাংশ বিদেশি সাহায্য আসত। এখন এটা মাত্র ১ দশমিক ৪ শতাংশ হলেই যথেষ্ট। আমরা এখন বিশ্বব্যাংককে দাতা বলতে চাই না। তাদের ডেভেলপমেন্ট পার্টনার বলতে পারি। তিনি বলেন, ওই সময়ে বিশ্বব্যাংককে সন্তুষ্ট করতে অনেক কিছু করেছি। মশিউর রহমান পদত্যাগ করলেন। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী আর আমি বিচলিত হইনি। প্রধানমন্ত্রী প্রথম দিনই বলে দিলেন, আমাদের এ ঋণ চাই না। তারা আমাদের অসম্মান করেছে। আমার চিন্তা ছিল এই অভিযোগটাকে অবশ্যই তুলে নিতে হবে। অবশেষে নতুন বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট আসার পর সিদ্ধান্ত নিলেন পদ্মা সেতুর বাতিল অর্ডার প্রত্যাহার করা হবে। তারা আমাদের কাছে বিশ্বব্যাংকে অর্থায়নের জন্য নতুন প্রকল্প প্রস্তাব চায়। আমরা ঠিক করলাম, নিজেদের সামর্থ্যে পদ্মা সেতুর কাজ করব। আশা করছি, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে এটা উদ্বোধন হবে। অনুষ্ঠানে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০১৮তে অংশগ্রহণকারী ১০ প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদান করায় ভ্যাট সম্মাননা সনদ ও পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলোÑ ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, র্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, আরএফএল প্লাস্টিকস লিমিটেড, বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেড, ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড, আকতার ম্যাট্রেস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড। অর্থমন্ত্রী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন।