বিশ্বম্ভরপুর আবুয়া নদীতে অসমাপ্ত সেতু,৫লক্ষাধিক জনসাধারনের গলার কাটা
জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া-
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফহেতপুর ইউনিয়নের আবুয়া নদীতে একটি সেতুর অভাবে ৪টি উপজেলার ৫লক্ষাধিক জনসাধারনের গলারকাটা হয়ে দাড়িয়েছে। এই নদীতে সেতুটি না থাকায় জেলা সদরের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ করতে গিয়ে বিশ্বাম্ভরপুর,তাহিরপুর,ধর্মপাশা উপজেলা ও মধ্যনগড় থানা সহ সর্বস্থরের জনসাধরন চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে প্রতিদিন। সেতুটি হলে ঐসব এলাকার লোকজন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদর দিয়ে টাকা ও সময় নষ্ট কওে না গিয়ে তাহিরপুর-ফতেহপুর-নিয়ামতপুর-সুনামগঞ্জ এই সড়ক দিয়ে জেলা সদরে যাতায়াত করত সহজে ও কম সময়ে। এদিকে সেতু না থাকায় জেলা পরিষদ থেকে লীজ নিয়ে নদী পারাপাড়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে ইজারাদার। নদী পারাপারে ব্যবহৃত একটি মাত্র ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকায় জীবনের যুকিঁ নিয়ে স্কুল,কলেজের ছাত্র-ছাত্রী,বিভিন্ন প্রতিষ্টানের চাকুরীজীবি,ব্যবসায়ীগন,বাই-সাইকেল,মটর-সাইকেল,ঠেলাগাড়ি,ভেনগাড়ি,অন্যান্য মালামাল ও যানবাহন পারাপার করতে গিয়ে সময় নষ্ট ও প্রায়ই নৌ-দূর্ঘটনা শিকার হচ্ছে। জানাযায়,তাহিরপুর উপজেলা থেকে ফতেহপুর-নিয়ামতপুর সড়ক দিয়ে সুনামগঞ্জ জেলায় যেতে সময় লাগে ৩০-৩৫মিনিট আর দূরত্ব ২৭কিঃ মিঃ এবং যোগাযোগের জন্য সহজ। সেতুটি নির্মিত না হওয়ায় সারা বছর জেলা সদরের সাথে তাহিরপুর,ধর্মপাশা উপজেলা মধ্যনগড় থানা ও ফতেহপুর ইউনিয়নের লোকজন বাধ্য হয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদর দিয়ে জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করছে। জেলার অবহেলিত জামালগঞ্জ উপজেলার বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে ব্যবসার-বানিজ্যের প্রান কেন্দ্র হিসাবে সাচনা বাজার পরিচিত পাওয়ার সুবাধে প্রতিদিন শত শত লোকজনের পদচারনায় মুখরিত হয় এ নদীটি। এছাড়াও এখানকার অধিকাংশ কৃষক,সবজি চাষীরা তাদের উৎপাদিত পন্য বেচা কেনার জন্য নৌকা দিয়ে আসা-যাওয়া করতে গেলে যাতায়াত খরচের পরিমান বেড়ে যায়। ফলে কষ্টার্জিত কৃষি জাতপন্য বিক্রি করে লাভের পরিবর্তিতে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। জেলা সদর,৪টি উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারন এ নদীতে সেতু নির্মানের ও এই সড়কের ভাঙ্গা অংশ গুলো মেরামতের জন্য র্দীঘ দিনের দাবী জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কার্য্যালয় সুত্রে জানাযায়-আবুয়া নদীটির উপর ২০০৮সালে ১০কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মান শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সেতু নির্মানের কাজ শুরু পর নদীর ২পাড়ে ২টি পিলার করারপর নদীর মধ্যে অর্ধ নির্মিত ১টি পিলার পাইলিংয়ের সমস্যা দেখিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। এরপর থেকে র্দীঘ ১০বছরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কার্যকর কোন প্রদক্ষেপ না নেওয়ায় এভাবেই পড়ে আছে। আরো জানাযায়,জেলার পাগলা-জগন্নাথপুর সড়কে ৭টি ও বিশ্বম্ভরপুরের আবুয়া নদীতে একটি সেতুর প্রয়োজনীয় কাগজ তৈরী করে ঢাকা পাঠানো হচ্ছে খুব শ্রীর্ঘই একনেকে অনুমোদন জন্য। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে। ফতেহপুর ইউনিয়নের বাসীন্দা প্রসূন কান্তি দাশ প্রনয়,বিজিত মিত্র,ছাত্রছাত্রী জানান-আবুয়া নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মান হলে জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ সহ এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারনের ব্যবসা-বানিজ্য করা,স্কুল,কলেজের ছাত্র-ছাত্রী,বিভিন্ন প্রতিষ্টানের চাকুরীজীবিদের চলাচলের পথ সুগম হত ভোগান্তি থেকেও মুক্তি পেতাম। স্থানীয় বাসীন্দা মোহাম্মদ বাবলু আজাদ ও এলাকার কৃষকগন বলেন,এ পর্যন্ত ৩জন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন কিন্তু এই নদীর উপর অসমাপ্ত ব্রীজ নির্মানের জন্য কারো কোন মাথা ব্যাথ্যা নেই। আমাদের হয়েছে যত বিপদ কাউকে কইতেও পারিনা সইতেও পারিনা। এই ব্রীজটি নির্মানের পূর্বে মাটির পরীক্ষায় ত্রুটি ছিল। খামখেয়ালীর জন্য সরকারের কোটি টাকার প্রজেক্ট রসা তলে গেল। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন-এই নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মান করা হলে সারা বছর তাহিরপুর,ধর্মপাশা,বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা,মধ্যনগড় থানার জনসাধারন আবুয়া নদী পার হয়ে জেলা সদরে সহজে চলাচলের সুবিধা এবং ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পারত খুব সহজে। সুনামগঞ্জ-৪ (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ জানান,এই সেতুটি দীর্ঘ দিন ধরেই কাজ বন্ধ রয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ জনস্বার্থে এই সেতুটি দূর্ত নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করে তার ব্যবস্থা করব।