বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রবাসীর স্ত্রী
জানা যায়, কালিয়াকৈরের আষাড়িয়াবাড়ী এলাকার সহদেব রাজ বংশীর ছেলে ঢাকা হাইওয়ে পুলিশের সদস্য রতন রাজ বংশীর সঙ্গে দুই বছর আগে মোবাইলের সূত্র ধরে ঢাকার রাজারবাগ এলাকার লিবিয়া প্রবাসীর স্ত্রী এক সন্তানের মায়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এরপর তাদের মধ্যে চলে প্রেম দেয়া নেয়া। একপর্যায়ে তারা দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
প্রেমিক রতনকে বিয়ে করার জন্য প্রবাসী স্বামীকে ডিভোর্স দেয় ওই নারী। কিন্তু কয়েকমাস আগে রতনের সঙ্গে সে নারীর প্রেমের সম্পর্কে ফাটল ধরে। ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় রতন। প্রেমিকের খোঁজে বুধবার রাতে হঠাৎ করে রতনের গ্রামের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় ওই নারী। এ সময় তিনি নিজেকে রতনের হবু স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেয়। কিন্ত ওই নারীকে মেনে নিতে নারাজ রতনের বাড়ির লোকজন।
পরে বৃহস্পতিবার ওই নারীকে চলে যেতে বললেও সে রাজি হয়নি। বিষয়টি রতনের পরিবারের লোকজন কালিয়াকৈর থানা পুলিশকে জানালে তারা দুপুরে ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ প্রতিবেদন পাঠানো পর্যন্ত সে নারী কালিয়াকৈর থানায় অবস্থান করছে।
ওই নারী জানান, রতন ও তার সাথে গভীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। রতনকে বিয়ে করবেন বলেই তিনি আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন। কিন্তু রতন এখন তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করে না। রতন কোথায় আছে তাও তিনি জানেন না। তাই রতনের খোঁজে তার গ্রামের বাড়িতে আসার পর পুলিশ গিয়ে তাকে নিয়ে আসে। তিনি রতনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান।
মোবাইলে রতন রাজবংশী জানায়, ওই মেয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। মেয়েটি একটি প্রতারক চক্রের লোক। ব্লাক মেইল করার জন্য সে রতনের গ্রামের বাড়ির ঠিকানা সংগ্রহ করে উপস্থিত হয়েছে। ওই নারীর সঙ্গে কখনো তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। কালিয়াকৈর থানার ওসি মো. আব্দুল মোতালেব মিয়া বলেন, মেয়েটিকে পুলিশ সদস্য রতন রাজবংশীর বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।