বৃটেনের রাজপথে ৩০০০ জঙ্গি
বৃটেনের রাজপথে ৩০০০ জঙ্গি। তাদেরকে নজরদারি করতে গোয়েন্দা ও সন্ত্রাস বিরোধী পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আইএসের পক্ষে যুদ্ধে যোগ দিতে এ যাবত প্রায় সাড়ে আটশ’ বৃটিশ নাগরিক বিদেশে, বিশেষ করে ইরাক ও সিরিয়ায় পাড়ি দিয়েছে। একজন সন্দেহভাজন উগ্রপন্থিকে ২৪ ঘন্টা নজরদারিতে রাখতে ৩০ জন পুলিশ সদস্য প্রয়োজন। বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়েছে, এসব উগ্রপন্থি বা জিহাদির মধ্যে বেশির ভাগ নারী ও পুরুষের বয়স ২০ কোটায়। খবরে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে বৃটিশ পাসপোর্টধারী অনেক উগ্রপন্থি বৃটেনে ফেরা শুরু করেছে। এতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে তারা নতুন করে হামলা চালাতে পারে। বিদেশে পাড়ি জমানো শতাধিক উগ্রপন্থি জিহাদি নিহত হয়েছে। অর্ধেকের মতো ফিরেছে বৃটেনে। তাদের রয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করার বাস্তব ও প্রশিক্ষিত অভিজ্ঞতা। তারা জানে কিভাবে বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে হয়। গত চার বছরে বৃটিশ নিরাপত্তা বিভাগগুলো কমপক্ষে ১৩টি পূর্ব পরিকল্পিত হামলার চেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে। এ তথ্য দিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কমিশনার মার্ক রাউলি। তার এ স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে এসেছে বৃটেন উগ্রপন্থিদের কতটা হুমকির মুখে রয়েছে। এমন অবস্থায় তাদের ওপর নজরদারি করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। তারা বিভিন্ন পরিবহন, শপিং সেন্টারকে বেছে নিয়েছে। বিশেষ করে একা একা ছুরি বা গাড়ি ব্যবহার করে হামলাকে উদ্বুদ্ধ করছে। আরো শিহরণ সৃষ্টিকারী তথ্য পাওয়া গেছে। তাতে বলা হচ্ছে, সিরিয়ায় আইএসের পক্ষে যুদ্ধ করে এমন সন্ত্রাসীরা তাদের স্ত্রী ও সন্তানকে দেশে ফিরে বৃটেনে বড় ধরনের হামলা চালানোর জন্য ব্রেনওয়াশ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের গোয়েন্দা পুলিশি সংস্থা ইউরোপোল বলেছে, এক্ষেত্রে অনেকেটাই ভয়াবহ হুমকি দেখা দিয়েছে। কারণ, দেশে ফেরা ওইসব জঙ্গিরা তীব্র সহিংসতা ঘটাতে পারে। ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে বৃটেনে সন্ত্রাস সম্পর্কিত ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৮০ জনকে। আগের ১২ মাসে এ সংখ্যা ছিল ৩০৭। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ২৫ ভাগ। মার্চে ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে পথচারী চারজনের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দিয়ে তাদেরকে হত্যা করে খালিদ মাসুদ। এরপরই সন্ত্রাস বিরোধী পুলিশ গ্রেপ্তার অভিযান জোরদার করে। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতে, গত তিন বছরে সন্ত্রাস বিষয়ক অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে ৩৮৬ জন।