ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া ও জালিয়াতিতে জড়িত থাকায় ১৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। মঙ্গলবার সিন্ডিকেটের বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া ও জালিয়াতিতে জড়িত থাকায় ১৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদ (ডিবি)। আজ সিন্ডিকেট সভায় ওই ১৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা হলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের নাভিদ আনজুম তনয়, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মহিউদ্দীন রানা, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আবদুল্লাহ আল মামুন।  জালিয়াতের অভিযোগে ছাত্রত্ব বাতিল হওয়া প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নাহিদ ইফতেখার, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. আজিজুল হাকিম, মনোবিজ্ঞান বিভাগের বায়েজীদ, সংস্কৃত বিভাগের প্রসেনজিৎ দাস, স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের ফারদিন আহমেদ সাব্বির, অর্থনীতি বিভাগের রিফাত হোসাইন ও তানভীর আহমেদ মল্লিক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের রাফসান করিম, বাংলা বিভাগের আখিনুর রহমান অনিক, ইতিহাস বিভাগের টি এম তানভীর হাসনাইন, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মুন্সী সুজাউর রহমান ও পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের নাজমুল হাসান নাঈম। মহিউদ্দীন রানা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক ছিলেন। ঘটনার পর ছাত্রলীগ থেকেও তিনি বহিষ্কৃত হন।

বিভিন্ন বিভাগের এই ১৫ শিক্ষার্থী ২০১৬ সালে জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেছিলেন, শৃঙ্খলা পরিষদের সুপারিশই চূড়ান্ত। এটা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করা হবে। তিনি বলেন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), গণমাধ্যম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসন্ধানের এই ১৫ জনের জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn