প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং আনের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে নির্ধারিত শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মি. কিমের কাছে লেখা এক চিঠিতে মি. ট্রাম্প বলেছেন, মি: কিম তার সাম্প্রতিকতম বিবৃতিতে যে প্রচণ্ড ক্রোধ ও খোলাখুলিভাবে যে বিদ্বেষ প্রকাশ করেছেন তাতে মি: ট্রাম্প মনে করছেন যে এই মুহূর্তে পরিকল্পিত ঐ বৈঠক অনুষ্ঠান উপযুক্ত হবে না। কিছুক্ষণ আগে হোয়াইট হাউস থেকে ঐ চিঠির কপি প্রকাশ করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরে ১২ই জুন এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এই চিঠিতে মি. ট্রাম্প বলছেন, এই শীর্ষ বৈঠক বাতিল করাটা বিশ্বের জন্য দু:সংবাদ। তিনি অবশ্য বলেছেন, পরে এই বৈঠক অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা তিনি বাতিল করে দিচ্ছেন না। আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে এই শীর্ষ বৈঠকের মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়া অবশেষে তার পারমাণবিক কর্মসূচি ত্যাগ করবে বলে ব্যাপকভাবে আশা করা হচ্ছিল। এর আগে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের একটি টিভি সাক্ষাৎকার নিয়ে গোল বাধে। ঐ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পরমাণু অস্ত্র পরিত্যাগ নিয়ে উত্তর কোরিয়া যদি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তি না করে, তাহলে তাদের পরিণাম হবে লিবিয়ার মত।

এর প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী চো সং হুই মি. পেন্সকে নির্বোধ এবং অজ্ঞ বলে আখ্যায়িত করেন। উত্তর কোরীয় মন্ত্রী মন্তব্য করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে বৈঠকের প্রশ্নে তাদের অত গরজ নেই। সোলে বিবিসির সংবাদদাতা লরা বিকার খবর দিচ্ছেন, মিস চো উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আনের খুবই ঘনিষ্ঠ একজন উপদেষ্টা। ফলে তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মি. কিমের মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে। লরা বিকার বলছেন, লিবিয়াকে যেভাবে চাপ দিয়ে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল- সেই প্রসঙ্গ তোলা উত্তর কোরিয়ার জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, প্রথমত, অস্ত্র কর্মসূচি ত্যাগ করেও মি. গাদাফিকে ক্ষমতা এবং প্রাণ দুটোই হারাতে হয়েছিল। আর দ্বিতীয়ত, উত্তর কোরিয়া মনে করে তাদের অস্ত্র কর্মসূচি লিবিয়ার তুলনায় অনেক অগ্রসর। উত্তর কোরিয়া মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যে সম্মান তাদের প্রাপ্য, তা তারা পাচ্ছেননা।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn