মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে ‘মুক্তির মিছিলে-প্রতিবাদের নাম জাহাঙ্গীরনগর’ এ ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। মানববন্ধনে মামলা প্রত্যাহার না হলে রাজপথে অবস্থান ও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেয় তারা। মানববন্ধনে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সভাপতি অলিউর রহমান সানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌহিদ হাসান শুভ্র। শুভ্র বলেন, আমরা চাই অবিলম্বে এ মামলা তুলে নেয়া হোক। মামলা যতদিন তুলে না নেয়া হবে ততদিন আমরা রাজপথে থাকব, আন্দোলন চালিয়ে যাব।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাসচাপায় জাবির দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং নিরাপদ সড়কসহ সাত দফা দাবিতে পরদিন ২৭ মে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। বিকালে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ছুড়ে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।পরে এ হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবনে গিয়ে ভাংচুর ও কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে ভিসি বাসভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভা থেকে ৩১ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত হয়। এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এদিকে মধ্যরাতে ভিসি বাসভবন থেকে ৪২ শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যায় আশুলিয়া থানা পুলিশ। পরে প্রশাসনের মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। ২৮ মে গ্রেফতারকৃত ৪২ শিক্ষার্থীকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে আর্থিক অনুদান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দিয়েছে জাবি প্রশাসন। এ ছাড়াও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে স্পিডব্রেকার নির্মাণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাসচাপায় জাবির দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং নিরাপদ সড়কসহ সাত দফা দাবিতে পরদিন ২৭ মে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। বিকালে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ছুড়ে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।পরে এ হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবনে গিয়ে ভাংচুর ও কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে ভিসি বাসভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভা থেকে ৩১ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখসহ ৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত হয়। এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এদিকে মধ্যরাতে ভিসি বাসভবন থেকে ৪২ শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যায় আশুলিয়া থানা পুলিশ। পরে প্রশাসনের মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। ২৮ মে গ্রেফতারকৃত ৪২ শিক্ষার্থীকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে আর্থিক অনুদান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দিয়েছে জাবি প্রশাসন। এ ছাড়াও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে স্পিডব্রেকার নির্মাণ করা হয়েছে।