মিন্নি চেয়েছিলেন রিফাতকে শিক্ষা দিতে: বরগুনার এসপি
বার্তা ডেস্ক :: দেশজুড়ে আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মিন্নি রিমান্ডে বলেছেন, রিফাতকে শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন তিনি। এর আগে আদালতে গত বুধবার রিমান্ড আবেদনের জন্য মিন্নিকে হাজির করা হলে আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তিনি তার স্বামী হত্যার বিচার চান। যদিও সেদিন আদালতে তার পক্ষে কোন আইনজীবী ছিল না। মিন্নির পক্ষে লড়তে কোন আইনজীবী রাজি হননি জানান তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবার দিনভর মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বুধবার রিমান্ড মঞ্জুরের পর পুলিশ তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মিন্নি এ হত্যার পরিকল্পনায় পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিল। তিনি আরও জানান, রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তৃতীয় আসামি রিশান ফারাজীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। রিশান বরগুনা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ধানসিঁড়ি রোডের দুলাল ফরাজীর ছেলে এবং এই মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজীর ছোট ভাই। রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী মিন্নিসহ এখন পর্যন্ত ১৬ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১০ জন রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এছাড়াও এ মামলার চারজন অভিযুক্ত রিমান্ডে রয়েছেন। সৌজন্যে : পূর্বপশ্চিম