মিলনকে খুঁজে বের করার আশ্বাস ডিএমপি কমিশনারের
জবি: আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে ধরে নেয়ার পর নিখোঁজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্র সাদেকুল ইসলাম মিলনকে খুঁজে বের করার আশ্বাস দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। মঙ্গলবার (১৮জুলাই) জবির ছাত্র-শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এ আশ্বাস দেন। বিকেল সাড়ে ৫ টায় ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মিলনের কয়েকজন সহপাঠীসহ জবি প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. পরিমল বালা, সহকারী প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল অংশ নেন। বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নুর মোহাম্মদ ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘আমরা ডিএমপি কমিশনারকে এই বিষয়টি অবহিত করার সাথে সাথেই তিনি একজন অফিসারকে ডেকে নেন এবং তাকে দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলেন। আমাদের সামনেই তিনি তাকে কয়েকটি কাজ করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব নিখোঁজ মিলনের সন্ধান বের করতে হবে।’
সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘আমাদের সামনে উনি মামলাটিকে আদাবর থানা থেকে ডিবিতে নিয়ে আসার নির্দেশনা দেন। এছাড়া তিনি আমাদের জানিয়েছেন, তিনি গতকাল রাতে এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন। তারা এ ব্যাপারে সব জায়গায় আরও ভালোভাবে খোঁজ খবর নেবেন।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান পরিমলবালা বলেন, ‘ডিএমপি কমিশনার আমাদের ছাত্র মিলনের নিখোঁজের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব এ ছাত্রের সন্ধান বের করতে হবে।’ বৈঠকে অংশ নেয়া মিলনের সহপাঠী সাদমান হাবীব শুভ বলেন, ‘ডিএমপি কমিশনার আমাদের জানান, তিনিসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বিষয়টি অবহিত আছেন এবং গতকাল রাতে জরুরি সভার মাধ্যমে মিলনের ব্যাপারে আদাবর থানায় মামলা নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এর প্রেক্ষিতে আজকে সকালে মিলনের বাবা-মা আদাবর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ডিএমপি কমিশনার অনেক আন্তরিকতা এবং আগ্রহের সাথে মিলনের বিষয়ে তথ্যগুলো শোনেন এবং নোট করেন।’
সাদমান বলেন, ‘সব কথা শুনে মিলনের মামলাটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়ের আওতাভুক্ত করেন এবং আইটি এক্সপার্টদের মিলনকে উদ্ধারে কাজ করার দায়িত্ব দেন।’ ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে পুলিশের লালবাগ জোনের ডিসি ইব্রাহীম খাঁন উপস্থিত ছিলেন। গত ২৩ মে ভোরে রাজধানীর আদাবরের বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে মিলনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে মিলনকে গ্রেফতার বা তুলে নিয়ে যাওয়ার এই অভিযোগ নাকচ করে দেয়া হয়েছে। তবে জবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী এই ছাত্রকে অপহরণের প্রায় ২ মাস পেরিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার কোনও সন্ধান দিতে পারেনি। সহপাঠীদের অভিযোগ, বারবার লিখিত ও মৌখিক তাগাদা দেয়া হলেও মিলনকে উদ্ধারে দৃশ্যমান কোনও তৎপরতা নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।