মনোয়ারুল ইসলাম: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার হুমকি দিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কূটনীতিক ওসমান সিদ্দিক। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কূটনীতিক ড. ওসমান সিদ্দিকের হাত রয়েছে বলে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তৃতাকালে ড. সিদ্দিকুর রহমান প্রায়শই অভিযোগ করেন। যা যুক্তরাষ্ট্রের বাংলা ভাষাভাষী বিভিন্ন মিডিয়া আউটলেট এবং ঢাকার নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়। সর্বশেষ সিদ্দিকুর রহমান নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে বক্তৃতা করেন। সেখানে তিনি বলেন, ড. ইউনূস ও ড. ওসমান সিদ্দিকের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার র্যাবকে নিষিদ্ধ করেছে। এ বক্তব্যকে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর আখ্যায়িত করে ড. ওসমান সিদ্দিক-এর আইনজীবী কার্ল এইচ জোসেফ-ব্লাক লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ড. সিদ্দিকুর রহমান বরাবর। সেই নোটিশের অনুলিপি হোয়াটসআপ যোগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের কাছে পাঠানো ছাড়াও ই-মেইলযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট, ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে পাঠানো হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এবং ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের উপস্থিতিতে ড. সিদ্দিুকুর রহমান মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছেন। এতে অ্যাটর্নি জোসেফের ক্লায়েন্ট ড. ওসমান সিদ্দিকের মানহানি হয়েছে। মিস্টার ওসমান সিদ্দিক সাবেক চ্যান্সেলর ওসমান গনির সন্তান ও ক্লিনটন প্রশাসনের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
উল্লেখ্য, তিনি বাংলাদেশের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বিএনপি নেতা ড. ওসমান ফারুকের ভাই। লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, আগামীতে ওসমান সিদ্দিকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মানহানিকর ও অসম্মানজনক বক্তব্য প্রদান থেকে সিদ্দিকুর রহমানকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১২০ বার