যুবলীগের বৈঠক, ফারুক-শাওনকে না রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের দীর্ঘ আট বছরের জট খুলছে। আগামী ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে যুবলীগের জাতীয় কংগ্রেস। আর এ কংগ্রেসকে সামনে রেখে রোববার (২০ অক্টোবর) গণভবনে যুবলীগ নেতাদের নিয়ে বসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে, এ বৈঠকে থাকবেন না সংগঠনটির বর্তমান চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ভোলা-৩ আসনের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। বুধবার (১৬ অক্টোবর) সম্মেলনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ গণভবনে দেখা করতে গেলে ওমর ফারুক এবং শাওনকে না রাখার নির্দেশনা পান তিনি। আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, যুবলীগের এ দু’নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে৷ ইতিমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রীও তাদের বিষয়ে ক্ষুব্ধ। তিনি চান না রোববারের বৈঠকে তারা উপস্থিত থাকুক। এটি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, রোববারের ওই বৈঠকে যুবলীগের সম্মেলনকে সফল করতে ১২টি উপকমিটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য দেওয়া হবে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ নেতা।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন থেকে ফিরে গত ২ অক্টোবর গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে দলের ২১তম জাতীয় কাউন্সিলের আগেই সম্মেলন করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। পরদিন আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে সহযোগী সংগঠনগুলোকে সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে চিঠি দেওয়া হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ২০১২ সালের ১৪ জুলাই যুবলীগের সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন ওমর ফারুক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন হারুনুর রশীদ। জানা গেছে, সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে যুবলীগের নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা জানান, ২৩ নভেম্বরের কংগ্রেসে দুর্নীতিসহ নানা অপকর্মে জড়িত বিতর্কিত নেতারা ছিটকে পড়বেন।