সিলেটের তারাপুর চা-বাগানের জমি আত্মসাতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির মামলায় দণ্ডিত শিল্পপতি রাগীব আলী ও তাঁর ছেলে আবদুল হাইকে দেওয়া জামিন ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি।হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে  বুধবার অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ আদেশ দেন। ফলে তাঁরা কারামুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।আইনজীবী সূত্র বলেছে, বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তাদের করা আপিল বিচারাধীন। এই আপিল বিচারাধীন থাকায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। হাইকোর্টের অবকাশকালীন একটি দ্বৈত বেঞ্চ শুনানি নিয়ে ২৯ আগস্ট রাগীব আলী ও আবদুল হাইকে এক বছরের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এ জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।
ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে তাদের করা আপিল সিলেট মহানগর দায়রা আদালতে শুনানির অপেক্ষায়। এ অবস্থায় তাঁরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। তারাপুর চা-বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাতে জালিয়াতির মামলায় দণ্ডিত রাগীব আলী ও তাঁর ছেলেকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি।মামলার সূত্রে জানা যায়, দেবোত্তর ওই সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি আদেশ তৈরির অভিযোগে ২০০৫ সালের ২ নভেম্বর সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)। এ মামলায় গত ২ ফেব্রুয়ারি সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম রায় দেন। রায়ে চারটি ধারায় তাদের ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। সব সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করায় কার্যত তাদের ছয় বছর কারাদণ্ড হয়েছে। এর আগে গত ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে রাগীব আলী ও গত ১২ নভেম্বর ভারত থেকে জকিগঞ্জ এসে গ্রেপ্তার হন আবদুল হাই। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাগীব আলী ও তার ছেলে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn