রুমে আটকে রেখে নির্মম নির্যাতন করা হত: সুমি
বার্তা ডেস্ক :: ভিডিওতে জীবন বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে আলোচিত সুমি আক্তার অবশেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন। তিনি শুক্রবার সকাল সোয়া ৭টায় এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে ঢাকা পৌঁছান। তবে শুক্রবার সকালে বিমানবন্দরে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা সুমির সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় তার নিজ জেলা পঞ্চগড়ে ফিরে গণমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি হন সুমি। তুলে ধরেন নির্মম নির্যাতনের কথা। নির্যাতিত সুমি জানান, সৌদিতে তাকে একটি রুমে আটকে রেখে দিনের পর দিন নির্যাতন করা হয়েছে। এমনকি তাকে তার গৃহকর্তা আরেক জায়গায় বিক্রি করে দেন বলেও জানান সুমী। দেশে ফিরে আসার বিষয়ে সুমি জানান, সৌদিতে নির্যাতিত হয়ে আমি ভেবেছিলাম আর কোনদিনে দেশে ফিরতে পারব না। পরে অনলাইনে ভিডিওটি ভাইরাল হলে বিষয়টি সরকারের নজরে আসে। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় দেশে ফিরতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সুমির পাশাপাশি সৌদিতে চলমান ধরপাকড়ের শিকার হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দেশে ফেরেন আরও ৮৬ বাংলাদেশি।
শুক্রবার সকালে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে তাকে গ্রহণ করেন। এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেখানে আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনে সহযোগিতা করেন। পরে সুমিকে বিমানবন্দর থেকে বের করে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের একটি দল নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গাড়িতে করে পঞ্চগড়ের উদ্দেশে যাত্রা করে। এ সময় এমনকি সুমির স্বামী নুরুল ইসলাম বিমানবন্দরে এলেও তার সাথেও দেখা করতে দেয়া হয়নি। সুমির বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বৈরাতি সেনপাড়া গ্রামে। তার বাবা মো. রফিকুল ইসলাম ও মা মল্লিক বেগম। শুক্রবার বিকালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহমুদ হাসান সুমিকে তার বাবা রফিকুল ইসলামের নিকট তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক আবু হেনা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, বোদা উপজেলার পাঁচপীর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির প্রধানসহ গণমাধ্যমকর্মীরা। সৌজন্যে :: যুগান্তর