‘রেট কিলার’ পানে শাবি ছাত্রের মৃত্যু: সুইসাইড নোট উদ্ধার
বার্তা ডেক্সঃঃ :: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের এক ছাত্রের বিষপানে মৃত্যু হয়েছে। বকুল দাস নামের এই শিক্ষার্থী ‘রেট কিলার (ইুঁদর মারার ওষুধ)’ পানে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৭টায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বকুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ। এদিকে তার কক্ষ থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে সুইসাইড নোটে তার নাম ও স্বাক্ষর কিছু নেই বলে জানা গেছে। হল সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজ কক্ষে বমি করতে থাকলে রুমমেটরা তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের ১২০ নাম্বার রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল। তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার নওগাঁও গ্রামে। তার পিতার নাম রামু দাস।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কাল বুধবার রাতে আমাকে একটা ছেলে ফোন দিয়ে বললো, তার রুমমেটের ফুড পয়জনিং হয়েছে। তখন তার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দ্রুত ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সে রেট কিলার নামে এক ধরণের বিষ খেয়েছে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন। হাসপাতালের ডাক্তাররা তার লালা থেকে পরীক্ষা করে রেট কিলার নামে এক ধরনের বিষ সনাক্ত করতে পেরেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে সব তথ্য জানা যাবে।’ বকুল দাসের রুমমেট নাবিল দেবনাথ বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনের মতো গল্প-গুজব ,খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে সে বমি করতে থাকে তখন আমরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। সে বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের বলে আসছিলো, ‘‘আমি (বকুল দাস ) আপনাদের মাঝে বেশি দিন থাকবো না।’’ কিন্তু সে আমাদের কিছু শেয়ার করে নি।’ এ বিষয়ে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অকিল উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।’ শাহপরান হলের প্রভোস্ট মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর পরই আমি হাসপাতালে যাই।’