শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগ (স্থগিত কমিটি) সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থসহ তিনজনের জড়িত থাকার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি। জড়িত অপর দুই জন হলেন মাহমুদুল হাসান রুদ্র ও সাজ্জাদ রিয়াদ। তারা দুইজনই পার্থর অনুসারী এবং তার নিয়ন্ত্রিত আবাসিক হলের কক্ষে থাকে। গত মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান সিনিয়র সহকারী জজ তাসলিমা শারমিন । তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, উক্ত তিনজন ভিকটিমকে যৌন হয়রানী, অশ্লীল মন্তব্যকরণ, থাপ্পর মারা, ভিকটিমের ফুপাত ভাইকে মারধর করা, সাংবাদিকের ক্যামেরা থেকে ছবি মুছে দেওয়া, খবর ছাপা হলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া এবং পরবর্তীতে দুইজন সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাদের সাথে মারামারিতে অংশগ্রহণকারী আরোও অজ্ঞাতনামা আসামী রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল শাবিতে ঘুরতে ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কয়েকজনের হাতে যৌন হয়রানির শিকার হন এসএসসি পরীক্ষা দেয়া এক ছাত্রী। এঘটনার প্রতিবাদ করলে শাবি প্রেসক্লাবের সহসভাপতি সৈয়দ নবীউল আলম দিপু ও সাধারণ সম্পাদক সরদার আব্বাসকে বেড়ধক পেটায় আসামীসহ অন্যান্য ১০-১২ জন। এ ঘটনায় ১২ এপ্রিল ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিচারক মো. মোহিতুল হকের আদালত ওইদিনই সিনিয়র সহকারী জজ তাসলিমা শারমিনকে মামলাটির তদন্তের নির্দেশ দেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn