শাল্লায় পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে গণধোলাই
সুনামগঞ্জ :: শাল্লা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবী (মহিলা) নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য নেয়ার প্রতিবাদে উপজেলার সর্বস্তরের জনতা বিক্ষোভ মিছিল ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অফিস ঘেরাও করে গণপিঠুনি দিয়েছে সচেতন জনতা। ‘শেখ হাসিনার নির্দেশ দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’-এ স্লোাগানকে সামনে রেখে ৮জানুয়ারি সোমবার বেলা ১২টায় উপজেলার শহীদ মিনার থেকে শতাধিক জনতা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। তখনই হাসপাতালে জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন। পরে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে আত্মরক্ষা করেন ওই কর্মকর্তা। অন্যদিকে শতাধিক লোকের মিছিলটি শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এসে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। সভায় যুবলীগ নেতা অজয় তালুকদারের সঞ্চালনায় ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আটগাঁও ইউপি আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন আল কাউসার,বাহাড়া ইউপি আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ফণি ভূষণ সরকার,যুবলীগ নেতা অরিন্দম চৌধুরী অপু,এনামুল বারি লেলিন,কৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস,উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক পলাশ চৌধুরী প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন,গত ৬/৭ জানুয়ারি উপজেলা পঃপঃ কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন ও সুনামগঞ্জ জেলার পঃপঃ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজ্জাম্মেল হকের যোগসাজসে লাখ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ওই বাণিজ্যের গোপন বৈঠক হয় উপজেলার বিআরডিবি কার্যালয়ে। ফলে সঠিক প্রার্থীরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হন। তারা আরো বলেন,সরকারি নীতিমালা তোয়াক্কা না করে অবিবাহিত নারীদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এসময় আরো বলা হয় এরপূর্বে সপ্রাবি’র দপ্তরি নিয়োগেও লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি সিন্ডিকেট প্রতারক চক্র। তার প্রমাণ সংগ্রহ করে রেখেছে বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা। তাদের দাবি আগামী ২৪ঘণ্টার ভেতরে সকল নিয়োগের ফলাফল বাতিল না করা হলে আগামীকাল উপজেলার হরতালসহ আরো কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।