শুক্রে প্রাণের অস্তিত্বের ইঙ্গিত!
পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজতে মরিয়া মানবজাতি। মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চললেও এবার বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন- মঙ্গল নয়, পৃথিবীর সবথেকে কাছের গ্রহে শুক্র গ্রহেই মিলতে পারে প্রাণের অস্তিত্ব। তবে এখন পর্যন্ত পোক্ত কোন প্রমাণ তাদের হাতে নেই। মূলত শুক্র গ্রহের আকাশে মেঘের আস্তরণে ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্ব মেলায় সেখানে প্রাণ অস্তিত্বও থাকতে পারে বলে তারা মনে করছেন। এর মূল কারণ প্রাকৃতিকভাবে ফসফিন তৈরির জন্য ব্যাকটেরিয়াই হচ্ছে সবচেয়ে বড় উৎস। এর বাইরে কেবল ল্যাবরেটরিতেই তৈরি হতে পারে ফসফিন গ্যাস। এ কারণেই বিজ্ঞানীরা বেশ জোর দিয়ে বলছেন, শুক্র গ্রহে থাকতে পারে ফসফিন তৈরির মতো কোন অণুজীব। রয়টার্স জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক গবেষক দল প্রথমে হাওয়াই দ্বীপে স্থাপিত জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল টেলিস্কোপে শুক্র গ্রহের মেঘপুঞ্জে ফসফিন গ্যাস দেখতে পান। এরপর চিলির আতাকামা মরুভূমি থেকে এএলএমএ রেডিও টেলিস্কোপ দিয়ে তা নিশ্চিত হন। জ্যোতির্বিজ্ঞানী গেন গ্রেভস বলেন, এটা একেবারে অপ্রত্যাশিত, স্তম্ভিত করে দেওয়ার মতো বটে। এই আবিষ্কার নিয়ে নেচার অ্যাস্ট্রোনমি সাময়িকীতে যে লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে, তার মূল লেখক যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির গবেষক গেন গ্রেভস।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির মলিকুলার পদার্থবিদ কার্লা সোস-সিলভা বলেন, আমাদের এই আবিষ্কারের ব্যাখ্যা যদি করতে হয়, তবে আমি সবার আগে বলব প্রাণ। এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, যদি এটা ফসফিনই হয়, তবে তার মানে এটাই দাঁড়ায় যে এর পেছনে প্রাণ আছে। তার মানে এই মহাবিশ্বের পৃথিবী ছাড়াও অন্য গ্রহে রয়েছে প্রাণের অস্তিত্ব। শুক্র গ্রহ পৃথিবীর চেয়ে সূর্যের অনেক কাছে অবস্থিত হওয়ায় এর তাপমাত্রা অনেক বেশি। শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৪৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। শুক্র গ্রহে ফসফিন দেখে সেখানে প্রাণের অস্তিত্বের কথা বলা হলেও এই প্রচ্ল তাপমাত্রায় কোন জীবের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা দেখেন না অনেক বিজ্ঞানী।-সিএনএন