-সুজাত মনসুর –পিতার মতো সন্তানকেও যে স্বজন হারানোর ব্যথা বুকে নিয়ে স্বদেশে ফিরে আসতে হবে তিনি হয়তো কোনদিন স্বপ্নেও ভাবেননি। তাও আবার এমন দেশ যে দেশের মাটি ও মানুষকে ভালোবেসে, যে দেশের স্বাধীনতার জন্য, মানুষের মুক্তির জন্য তাঁর পিতাকে জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য সময় অতিবাহিত করতে হয়েছে কারাগারে, দুদবার নিশ্চিত ফাঁসির কাছাকাছি থেকে ফিরে আসতে হয়েছে। তাদের পরিবারকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক কষ্ট ও জ্বালা যন্ত্রনা। সর্বোপরি এই সেই দেশ, যে দেশে স্বদেশীয় ঘাতকদের হাতেই জীবন দিতে হয়েছে পিতা-মাতা-ভাই আত্মীয়-স্বজনকে। সেই অভাবনীয় কাজটিই করতে হয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে। পিতা যেমন ১৯৭২ সালে দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তানের কারাগারে কাটিয়ে লাখো স্বজন হারানোর ব্যথা বুকে, অশ্রু সজল নয়নে ১০ জানুয়ারী পড়ন্ত বিকেলে সদ্য স্বাধীন দেশের রাজধানী ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেছিলেন, তেমনি এগারো বছর পর পিতা-মাতার বড় আদরের হাসুকেও দেশে ফিরে আসতে হয়েছিলো স্বজন হারানোর বেদনা আর অশ্রু সজল নয়নে ১৯৮১ সালের এক পড়ন্ত বিকেলে রাজধানী ঢাকার বুকে। তারিখটি ছিলো ১৭ মে। আর এটিই ছিলো সময়ের দাবি। পিতা বঙ্গবন্ধুর যেমন অশ্রু সজল হলেও চোখে স্বপ্ন ছিলো, প্রত্যয় ছিলো, তেমনি কন্যা শেখ হাসিনারও অশ্রু সজল নয়নে স্বপ্ন ছিলো, প্রত্যয় ছিলো। পিতার স্বপ্ন ও প্রত্যয় ছিলো যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধীরে ধীরে গড়ে তুলে স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা। আর কন্যার স্বপ্ন ও প্রত্যয় ছিলো গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে, দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় ফিরিয়ে এনে, পিতার অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করে স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। পিতার জন্য কাজটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হলেও, পরিবেশ ছিলো অনুকুলে, নিজের দল ছিলো ক্ষমতায়। সদ্য-স্বাধীন দেশে মানুষের দেশপ্রেম ছিলো তুঙ্গে। কিন্ত কন্যার জন্য সবকিছু শুধু চ্যালেঞ্জিং ছিলো না, পরিবেশ ছিলো সম্পূর্ন প্রতিকুলে। ক্রমাগত মিথ্যাচার আর ইতিহাস বিকৃতির ফলে জনমনে বিশেষ করে তরুন প্রজন্মকে অনেকটা বিভ্রান্তিতে পেয়ে বসে, একশ্রেনীর মানুষের দেশপ্রেমেও কিছুটা ছিড় ধরে। কিন্তু তিনি পেরেছেন দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে আনতে। করছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। গণতন্ত্র আজ হাটি হাটি পা পা করে প্রতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। দেশের মানুষকে দেখিয়েছেন উন্নত দেশে পরিণত হবার স্বপ্ন।
স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড, জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চারনেতাকে হত্যা এবং হাজার হাজার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনগুলোর কারাগারে প্রেরণ, কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ স্পৃহায় প্রতিবাদি নেতা-কর্মীর ভারতে আশ্রয় গ্রহণ এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা(উদ্দেশ্য মহৎ হলেও, পদ্ধতি ছিলো ভুল) এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কিছু কিছু নেতার নেতৃত্বের মোহ দল পুনর্গঠনে শুরু থেকেই কিছুটা সমস্যা চলে আসছিলো। তাই জাতীয় চারনেতা অন্যতম, প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের সহধর্মিনী সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিনকে আহ্বায়ক করে যখন পিপিআর-এর অধিনে পুনর্গঠিত আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু হয়, তখন অনেকেই তা মেনে নিতে পারেননি। আর তা মেনে নিতে পারেননি বলেই, পরবর্তীতে যখন কাউন্সিলের মাধ্যমে আব্দুল মালেক উকিলকে সভাপতি এবং আব্দুর রাজ্জাককে সাধারণ সম্পাদক করে আওয়ামী লীগের নবযাত্রা শুরু হয়, তখন আবারো আঘাত আসে দলে ঘাপটি মেরে বসে থাকা কুচক্রিমহল এবং মুশতাকের অনুসারীদের পক্ষ থেকে। তারা দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে গঠন করে আওয়ামী লীগ(মিজান)। শুধু দল গঠনই নয়, ১৯৭৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে মই প্রতীক নিয়ে তারা অংশও নেয়। কিন্তু কুচক্রি, ষড়যন্ত্রকারী এবং বিপদগামীদের ইতিহাস নির্ধারিত যে গতি তাদের ভাগ্যেও তাই ঘটে। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলে কেউ কেউ মূল আওয়ামী লীগে ফিরে আসে এবং পালের গোদা মিজানুর রহমান চৌধুরী স্বৈরাচারী এরশাদের দলে যোগ দেয় এবং কোন এক একুশের প্রভাতে তাকে জনতার হাতে দিগম্বরও হতে হয়। মিজান চৌধুরীরা দল থেকে চলে গেলেও, দলে উপদলীয় কোন্দল লেগেই ছিলো। আর এই কোন্দলের পেছনে যতটা না ছিলো আদর্শিক, তার চেয়ে বেশি ছিলো নেতৃত্বের। এই কোন্দল এতই প্রকট আকার ধরন করে যে, দল আবারো একটি ভাঙনের মুখোমুখি হয়, তাই পঁচাত্তর পরবর্তী আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় কাউন্সিলে, ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারীতে দলের ভাঙন ঠেকাতেই মূলতঃ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে দলের সভানেত্রী নির্বাচন করা হয়, ঐক্যের প্রতিক হিসেবে। তিনি শুধু দলের ঐক্যের প্রতিক নন্‌, হয়ে উঠেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ঐক্যের প্রতিক, যার সুফল আমরা এখন ভোগ করছি, দল হিসেবে আওয়ামী লীগ তা ভোগ করছে ৮১ সাল থেকেই। যদিও এটা করেও দলের ভাঙন ঠেকানো যায়নি, পরবর্তীতে দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে দলের প্রগতিশীল, নিবেদিত প্রাণ এক ঝাক তরুনের দল ভেঙে চলে যাওয়া, যা ক্ষনিকের জন্যে হলেও দলের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে। অবশ্য পরবর্তীতে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে মুল দলে ফিরে আসেন।
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত হবার পর আওযামী লীগ ও তার অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনগুলোর মধ্যে নতুন প্রানের সঞ্চার হয়। শুধু আওয়ামী লীগ বলি কেনো, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি এবং গণতান্ত্রিক শিবিরেও একটা স্বস্তি ফিরে আসে, এই ভেবে যে সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি যেভাবে বাংলাদেশকে একটি মিনি পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যেভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলো একে একে ধ্বংস করে দিচ্ছে তার বিরুদ্ধে এবার অন্ততঃ ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। তবে সবার আগে প্রয়োজন তাঁর দেশে ফেরা, স্বশরীরে দল ও জাতির নেতৃত্ব গ্রহণ করা। কিন্তু বিষয়টি এতো সহজ ছিলো না। দেশে ফেরার পথটি ছিলো, দুর্গমও গিরি কান্তার মরু দুস্তরও পারাবার। কিন্তু তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা, তিনি গণতন্ত্রের মানস কন্যা। তাই তিনি সকল বাধা অতিক্রম করে, সকল ষড়যন্ত্রকে পদলিত করে ফিরে এলেন পিতা-মাতা-ভাই, আত্মীয়-পরিজনহীন তাঁর পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি ফিরে এলেন মাটি-মানুষের ভালোবাসার টানে ১৭ মে ১৯৮১-তে প্রিয় বাংলায়।
তার দেশে ফেরাটা আগেই উল্লেখ করেছি এতো সহজ ছিলো না।-বেসামরিক পোশাকে সামরিক শাসক, দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্র, বৈরি রাজনৈতিক পরিবেশ, রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম হলেও, একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দেবার মতো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্বেও বিশাল একটি দলের নেতৃত্ব গ্রহণ, তাও আবারো স্বজন-হারানো বাংলার মাটিতে, যেখানে পিতার মতো তাঁরও জন্য অপেক্ষা করছে রাষ্ট্রীয় পোষকতায় লালিত-পালিত ঘাতক দল। সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ও বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠনের নেতৃত্ব গ্রহণ করায় তিনি ইতোমধ্যেই হয়ে উঠেছেন কোটি মানুষের আশার আলো, ভরসার স্থল। তাঁকে ঘিরেই মানুষ আবার নতুনদিনের স্বপ্ন দেখা শুরু করে। তাই তিনি যেদিন স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন সেদিন তুমুল ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিমান বন্দর ও তাঁর গমন পথের রাস্তার দুদপাশে লাখো মানুষের সমাবেশ ঘটেছিলো। মানুষের চোখে-মুখে ছিলো নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ফিরে পাবার আকুলতা, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের বিচারের আকাংখা। সুতরাং তাঁর দেশে ফেরা ছিলো এক বিরাট চ্যালেঞ্জ এবং সময়ের দাবি।
তিনি দেশে ফিরে আসার দুদসপ্তাহ যেতে না যেতেই একটি প্রচন্ড ঝাঁকুনি তাঁকে সহ্য করতে হয়, জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ড। সেদিন তিনি সিলেটে হযরত শাহজালাল(রঃ)-এর মাজার জিয়ারত ও আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিশাল জনসভা শেষে রাতে যখন ঢাকা ফিরছিলেন, সেই সময়ই চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে কতিপয় সেনা সদস্যের হাতে জিয়াউর রহমান নিহত হয়। আর আশ্চর্য হলেও সত্য সেদিন জিয়াউর রহমানের সফরসঙ্গী ডাঃ বদরুদ্দোজ্জা চৌধুরী কিভাবে যে অক্ষত থেকে যায় আজো সেই রহস্য উদঘাটিত হয়নি। সেদিনও অঝোরধারায় বৃষ্টি পড়ছিলো, মনে হচ্ছিল স্বজন হারানো বেদনায় কাতর শেখ হাসিনার সাথে প্রকৃতিও যেন কাঁদছে। জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ড কোন কাকতালীয় ঘটনা নয়। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত ও স্বদেশে লাখো মানুষের সাদর সম্ভাষণ মুক্তিযুদ্ধ, গনতন্ত্র এবং প্রগতি বিরোধী দেশি-বিদেশি শক্তিকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলে, তাই তারা শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রাকে ঠেকিয়ে দিতে পুরনো কায়দায় ষড়যন্ত্র শুরু করে। নতুন করে সামরিক শাসন জারি এবং জিয়ার বদলে নতুন কাউকে ক্ষমতায় বসানোর ষড়যন্ত্র থেকেই জিয়াকে হত্যা করা হয় এবং আপাততঃ তারা সফলও হয়। জিয়াউর রহমান হত্যাকন্ড পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি ও ক্ষমতার পালাবদল কিন্তু সেই ষড়যন্ত্রেরই স্বাক্ষ্য বহন করে।
১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ আবার ২০০১ থেকে ২০০৮, মধ্যে ৫টি বছর বিরতি দিয়ে দুইবারে মোট ২৮ বছর বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা হত্যা, হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা, জেল-জুলুম, ক্ষমতালোভি নেতাদের দিয়ে দলে ভাঙনের চেষ্টা, কোন কিছুই আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। পিতার মতো নিজের উপরও বার বার হামলা হয়েছে, মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়েছে, দেশে ফিরতে বাধা দেয়া হয়েছে, কিন্তু জননেত্রীকে তাঁর অভিষ্ট লক্ষ্য থেকে একচুলও নড়াতে পারেনি। সময়ের দাবি পুরনে এগিয়ে গেছেন অত্যন্ত ধীর-স্থির এবং অদম্য সাহসে। বাংলার মানুষের প্রত্যাশা পুরনে তিনি আজ বাংলাদেশকে ফিরিয়ে এনেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার ও রায় কার্যকর করার পর, দীর্ঘ তেতাল্লিশ বছর পর হাত দিয়েছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে। ইতোমধ্যেই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন হয়েছে এবং দুদটি রায়ও কার্যকর করা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি বা জঙ্গি রাষ্ট্র নয়। আমরা শুধু খাদ্যে স্বয়ংসসম্পূর্নই নই, খাদ্য রফতানি করছি। পদ্মাসেতুর মতো একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের পথে। ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্র বিজয়ের পর, প্রায় চারদশকের উপর ঝুলে থাকা মুজিব-ইন্দিরা স্থল সীমান্ত চুক্তি চুড়ান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে । তথ্য প্রযুক্তিতে আমরা এতোটাই এগিয়েছি যে, গ্রামে বসেও সারা দুনিয়ার সাথে আমরা মিনিটেই যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি। মহাশুন্যে আমাদের নিজস্ব বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এখন বাস্তবতা। আমাদের মাথাপিছু আয় মাত্র ছয় বছরে চারশত ডলার থেকে প্রায় সতেরো ডলারে উপরে উন্নিত হয়েছে। বিদ্যুত উৎপাদন বা অবকাঠামো উন্নয়নের কথা নাইবা বললাম। আর ক্রিকেটে তো এখন আমরা বিশ্ব মোড়লদের পরাজিত করছি অহরহ। সর্বোপরি বাংলাদেশ আজ মধ্য আয়ের দেশে পরিনত হওয়া আর স্বপ্ন নয় বাস্তবতা। অবশ্য এতো উন্নয়ন বা সাফল্য আমাদের তথাকথিত সুশীল সমাজের চোখে পড়ে না। তারা বিদেশি অর্থায়নে ঢাকার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে অথবা টকশোতে শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকারের সমালোচনায় মুখর। তাদের কাছে সবকিছুই নেতিবাচক। এত সমালোচনা, ষড়যন্ত্র সত্বেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। সময়ের দাবিও তাই। জয়তু শেখ হাসিনা।

সুজাত মনসুরঃ সাংবাদিক ও কলাম লেখক.

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn