বুধবার ও বৃহস্পতিবর পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা-বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বধ্যভূমি ৭১, বিটিআরআই, বাংলাদেশ বন্য প্রাণি সেবা ফাউন্ডেশন, নিলকণ্ঠের ১০ লেয়ার চা, চা-কন্যার ভাস্কর্য, টি রিসোর্ট মিউজিয়াম, বাইক্কাবিল, মণিপুরী পাড়ার হস্ত শিল্পের দোকানসহ বিভিন্ন স্থানে পর্যটকদের ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। এবার ঈদে কোন হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজে রুম খালি নেই, সবগুলোই আগাম বুকিং হয়ে গেছে।ঢাকা থেকে পর্যটক মাহমুদুল কবির ঈদের ছুটিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে এসেছেন। শ্রীমঙ্গলের সবুজ চায়ের বাগান, টিলা, লাউয়াছড়াসহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছেন। তিনি বলেন, এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য যেকোনো মানুষকে বিমোহিত করে। আর এখানে আসার খরচও অনেক কম।

তাহসিন আহমেদ নামের এক পর্যটক বলেন, শ্রীমঙ্গলের পর্যটনকেন্দ্রগুলো সুন্দর হলেও এখানকার রাস্তাঘাটের অবস্থা খুব খারাপ। যেহেতু এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকদের ভিড় হয়, তাই রাস্তাঘাটের ব্যাপারে অবশ্যই গুরুত্বারোপ করা উচিত।

 শ্রীমঙ্গল ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আহাদ মিয়া বলেন, ‘ঈদের দিন থেকে এখন পর্যন্ত দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়েছে। শ্রীমঙ্গলে দর্শনীয় স্থান ও ভাল মানের হোটেল-রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট থাকার কারণে এখন পর্যটকেরা শ্রীমঙ্গলকেই বেছে নিচ্ছেন।’

শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার আহ্বায়ক ও টি হ্যাভেন রিসোর্টের পরিচালক আবু সিদ্দিক মুসা বলেন,‘ঈদের পরদিনও আমাদের শ্রীমঙ্গলের হোটেল-রিসোর্টগুলোতে ভাল পর্যটক আছে। আশা করছি এ রকমভাবে আরও কয়েক দিন যাবে।’

তিনি বলেন, পর্যটকদের জন্য ট্রেন ও বাসের পর্যাপ্ত টিকিট না থাকার কারণে পর্যটকেরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। যেহেতু বিশেষ দিনগুলোতে এখানে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ে, তাই সেই সময়ে এখানে বিশেষ যানবাহনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। যাতে পর্যটকেরা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন।

শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছালেক বলেন, শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশের উপস্থিতি রয়েছে। পর্যটকেরা যাতে আনন্দঘন পরিবেশে ঘুরে বেড়াতে পারেন সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn