সংবিধান সংশোধন প্রস্তাব নিয়ে সোমবারে মন্ত্রিসভায় আলোচনা
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২০ বছর বাড়ছে। পাশাপাশি নারী সদস্য সংখ্যা ৫০ থেকে ৬০-এ উন্নীত হতে পারে। এজন্য সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনের প্রস্তাব আজ মন্ত্রিসভা বৈঠকে উঠছে। এরই মধ্যে লেজিলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইন-২০১৮’-এর খসড়া অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে। মন্ত্রিসভার ১ নম্বর এজেন্ডায় বিষয়টি রাখা হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম মানবজমিনকে বলেন, সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা বৈঠকের এজেন্ডায় রয়েছে।এর আগে সংসদে নারী আসনের মেয়াদ দু’বার বাড়ানো হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সংবিধানের ৬৫(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বর্তমানের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যের মেয়াদ চলতি সংসদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে যাবে। পরবর্তী সংসদে সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য রাখতে হলে নতুন করে আইন করতে হবে। এ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- সংবিধান (চতুর্দশ সংশোধন) আইন-২০০৪ প্রবর্তনকালে বিদ্যমান সংসদের অব্যবহিত পরবর্তী সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে শুরু করিয়া দশ বৎসর কাল অতিবাহিত হইবার অব্যবহিত পরবর্তীকালে সংসদ ভাংগিয়া না যাওয়া পর্যন্ত (পঞ্চাশটি আসন) কেবল মহিলা-সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে এবং তাঁহারা আইনানুযায়ী পূর্বোক্ত সদস্যদের দ্বারা সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হইবেন: তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার কোনো কিছুই এই অনুচ্ছেদের (২) দফার অধীন কোনো আসনে কোনো মহিলার নির্বাচন নিবৃত্ত করিবে না। এর আগে ১৯৭২ সালের সংবিধানে সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১০ বছরের জন্য ১৫টি আসন সংরক্ষণের বিধান করা হয়। ১৯৭৮ সালে সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৩০-এ উন্নীত এবং এর মেয়াদ ১৫ বছর করা হয়। ২০০৪ সালে সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ ও এর সময়সীমা ১০ বছর নির্ধারণ করা হয়। ২০১১ সালের ৩রা জুলাই সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী এনে সংরক্ষিত মহিলা আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০টি করা হয়। এরপর থেকে জাতীয় সংসদ ৩৫০ সদস্যবিশিষ্ট; যার ৩০০ জন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত। অবশ্য সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি নারীরা সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারছেন।