সিলেট নগরীতে এক যুক্তরাজ্য প্রবাসী তৃতীয় বিয়ে করতে গিয়ে তুলকলাম কান্ড ঘটেছে। গতকাল রোববার বিকেলে নগরীর জেল রোড এলাকার হোটেল ডালাসে এ ঘটনা ঘটে। বিয়ের কাবিনের কাগজ ফটোকপি করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন প্রবাসীর বড় ভাই। এসময় বিয়ের দাওয়াতে আসা অতিথিরা পড়েন বেকায়দায়। বিয়ের অনুষ্ঠানে পুলিশ নিয়ে হাজির প্রবাসীর দ্বিতীয় স্ত্রী রুকসানা বেগম। লন্ডন প্রবাসী আব্দুল তাহির (৪৫) বিশ্বনাথের নোওয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। ২০০৭ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাওয়ের বসন্তর গ্রামের রুকসানা বেগমকে। এরপর থেকে নগরীর করেরপাড়া এলাকায় মোহনা ব্লক বি-৪৮ নম্বর বাসায় বসবাস করতেন।

রুকসানা জানান, তাদের একটি ছেল ও কন্যাসন্তানও রয়েছে। লন্ডনে আব্দুর তাহিরের আরও একজন স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে বলেও জানান তিনি। এরপরও তিনি আরো বিয়ে করতে চাইতেন। বিয়ে করার জন্য পাগল ছিলেন। দেশে এলেই ঘটকদের টাকা দিয়ে বিয়ের পাত্রী দেখতে যেতেন। এতে মত না দেওয়াই প্রায়াই নির্যাতন করতেন। কয়েকমাস পূর্বে স্বামীর নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় তালাক নেওয়ার জন্য চাপ দেন আব্দুল তাহির। তবে তিনি তাতে স্বাক্ষর  দেননি। এরপর ছেলে ও মেয়েকে তাঁর কাছে রেখে রুকসানাকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেন। ছেলে-মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে রুকসানার বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার চালান আব্দুল তাহির। রুকসানা আরও জানান, লন্ডনের প্রথম স্ত্রী ও দেশে অবস্থানরত দ্বিতীয় স্ত্রীর অনুমতি না নিয়েই গতকাল রোববার ওই প্রবাসী তৃতীয় বিয়ের জন্য সিলেটের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আয়োজন করেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ। তবে প্রবাসী এসময় দাবি করেন তিনি বিধিমোতাবেক দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বিয়ে করছেন। তিনি বলেন, রুকসানা ৪ মাস পূর্বে বাসা থেকে কয়েক লাখ টাকার জিনিসপত্র হাতিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় সিলেট জালালাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করা রয়েছে বলেও জানান তিনি। শেষ পর্যন্ত কোনো পক্ষের অভিযোগ থাকলে আদালতে মামলা দায়েরের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয় বলে জানান সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn