সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমানের বাড়ি নিলামে
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ‘টেন ডাউনিং স্ট্রিট’কে লেখা এক চিঠিতে শীর্ষ পিটিশনার এন্ডি এরলাম জানান, ‘উদ্ভুত বিশেষ আইনি পরিস্থিতিতে তারা থেরেসা মে’কে এক মিলিয়ন পাউন্ডের আইনি খরচ মেটাতে প্রয়োজনে সরকারি ফান্ডের সাহায্য নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তা নাকচ করে দেন।’ ২০১৫ সালে সরকারের হয়ে হাইকোর্টে এ মামলায় জেতার পরও আইনজীবীদের প্রতি এমন আচরণকে এন্ডি এরলাম ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করেন। ইস্ট লন্ডন অ্যাডভার্টাইজারকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘মামলা চলাকালীন তারা (বর্তমান সরকার) ক্ষমতায় ছিল কিনা, এটি কোনও বিতর্কের বিষয় হতে পারে না। লক্ষণীয় বিষয় হলো— এখন তারা ক্ষমতাসীন এবং বিগত সময়ে একই রাজনৈতিক দল প্রাসঙ্গিক সব প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল।’ এ বিষয়ে জানতে শনিবার লুৎফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে লুৎফুর রহমান জনসমক্ষে দেওয়া তার সর্বশেষ বক্তব্যেও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। শুরু থেকেই ব্যক্তি ও মহল বিশেষের প্রতিহিংসার শিকার বলে দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে প্রথমবার নির্বাহী মেয়র নির্বাচিত হন লুৎফুর রহমান। বাংলাদেশের সিলেট থেকে ছেলেবেলায় মা বাবার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে আসেন তিনি। পরে লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তার পরিবার লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস অঞ্চলের বাসিন্দা। লুৎফুর রহমান লন্ডনের সিটি ইউনিভার্সিটিতে আইন বিষয়ে পড়াশুনা করেন। পরে আইন পেশা গ্রহণ করেন। তিনি একজন সলিসিটর এবং পারিবারিক আইন বিষয়ে প্রাকটিস করতেন। এরপর রাজনীতিতে সক্রিয় হন। দ্বিতীয় দফায় মেয়র নির্বাচিত হবার পর অনিয়মের অভিযোগে তাকে মেয়র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।