মালয়েশিয়ার বিশেষ কর্মসূচির আওতায় গত ১৫ বছরে ‘সেকেন্ড হোম’ বা দ্বিতীয় বাড়ি গড়ার সুবিধা নিয়েছে সাড়ে তিন হাজারের বেশি বাংলাদেশি। বিভিন্ন দেশের ৩৩ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে সংখ্যায় বাংলাদেশিদের অবস্থান তৃতীয়। গতকাল বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরে এমএম২এইচ জাতীয় কর্মশালায় দেশটির পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী মোহাম্মদ নাজরি আবদুল আজিজ এ তথ্য জানান। দেশটির বার্তা সংস্থা বারনামার এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রী নাজরি বলেন, ২০০২ সালে মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএম২এইচ) নামে এই কর্মসূচি চালুর পর থেকে ভালো সাড়া পড়েছে। এখন পর্যন্ত ১২৬টি দেশের ৩৩ হাজার ৩০০ মানুষ এই সুবিধা নিয়েছেন। এই কর্মসূচির অংশীদার হিসেবে শীর্ষে রয়েছে চীন। দেশটির ৮ হাজার ৭১৪ জন এই সুবিধা পেয়েছে। এরপরই জাপানের ৪ হাজার ২২৫, বাংলাদেশের ৩ হাজার ৫৪৬, যুক্তরাজ্যের ২ হাজার ৪১২, ইরানের ১ হাজার ৩৩৬, সিঙ্গাপুরের ১ হাজার ২৯৫, তাইওয়ানের ১ হাজার ২০৮, দক্ষিণ কোরিয়ার ১ হাজার ২৬৬, পাকিস্তানের ৯৭৩ ও ভারতের ৮৯০ জন কর্মসূচিতে সুযোগ পেয়েছেন।

তিনি জানান, সেকেন্ড হোম কর্মসূচির আওতায় অংশ নেওয়া মানুষরা স্থাবর সুবিধা ও রাজস্ব হিসাবে মোট এক হাজার ২৮০ কোটি মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ করেছেন। এক লাখ ডলার জমা দেওয়াসহ বিশেষ কিছু শর্ত পূর্ণ করে যে কোনো দেশের নাগরিকরা মালয়েশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদে বসবাসের সুযোগ পান।

বাংলাদেশিসহ ৫৪ অভিবাসীর জেল

মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানের অপরাধে বাংলাদেশিসহ মোট ৫৪ অভিবাসীর এক থেকে তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে। এছাড়া কয়েকজনের ৮০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত করে জরিমানা হয়েছে। ৫৪ জনের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও ইন্দোনেশীয়, ভারতীয় ও থাই নাগরিক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বৈধ ট্রাভেল ডকুমেন্ট প্রস্তুত না করা, ভিসার মেয়াদ পার হওয়ার পরও অবস্থান করা এবং ভিজিট পাসের অপব্যবহারের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। গ্রেফতারের দিন থেকে তাদের কারাদণ্ড কার্যকর হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn