সিলেটের কেউ মন্ত্রিসভায় ডাক পাননি।
পিংকু ধর :: এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও সৈয়দ মহসিন আলীর প্রয়াণের পর মন্ত্রীদের তালিকা সিলেট বিভাগের প্রতিনিধিত্ব কমে গিয়েছিল। সেই শূন্যতা পূরণে নতুন করে মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়ার প্রত্যাশায় ছিলেন সিলেটের এমপি ও রাজনীতিবিদদের অনেকে। কিন্তু সেই আশায় আবারো গুড়েবালি হয়েছে। সর্বশেষ বছরের প্রথমদিন সোমবার মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিতে বেশ কয়েকজনকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফোন করা হয়েছে । সেই ফোনকলের তালিকায় ছিলেন না সিলেটের কেউ। মন্ত্রিসভার আকার বাড়ছে। এ বিষয়টি উড়ে বেড়াচ্ছিল গত বছরখানেক ধরে। বর্তমান সরকার ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি শপথ নেয়ার পর মন্ত্রিসভায় এখন পর্যন্ত চার দফা রদবদল বা নতুন মুখ সংযোজন হয়েছে। আরেক দফা রদবদল আসছে-এ বিষয়ে গত ৮ মে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে জানিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এরপর ১৮ জুলাই তিনি আরেকবার একই তথ্য দেন। সেই তথ্যানুযায়ী মন্ত্রিসভার আকার অবশেষে বাড়ছে।
মন্ত্রীত্ব লাভের আশায় সিলেট বিভাগের অনেক সাংসদ ও রাজনীতিবিদ সরকার এবং দলের উর্ধ্বতন মহলের অনেকের কাছেই ধর্না দিয়েছিলেন। নিজেদের অনুসারী ও নিজ নিজ সংসদীয় এলাকাতেও মন্ত্রীত্ব লাভের বিষয়টি ছড়িয়ে দিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু গতকালের বঙ্গভবনে ডাক পাওয়াদের তালিকায় সিলেটের কেউ না থাকায় হতাশ হয়েছেন অনেকে। তবে এ হতাশা শুধু তাদের নয়, সিলেটী মন্ত্রীদের শূন্যস্থান পূরণ না হওয়ায় হতাশ হয়েছেন সিলেটবাসীও। সোমবার (০১ জানুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বেশ কয়েকজনকে ফোন করে মঙ্গলবার বঙ্গভবনে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, লক্ষ্মীপুরের সাংসদ শাহজাহান কামাল, রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলী ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা জব্বারকে বঙ্গভবনে ডাকা হয়েছে বলে জানা গেছে।