সিলেটে অটোরিক্সা শ্রমিকদের পৃথক সংঘর্ষ; আহত অর্ধশতাধিক
অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন ৭০৭ এর অন্তর্ভূক্ত আম্বরখানা-সালুটিকর শাখার শ্রমিকদের মধ্যে পৃথক পৃথক সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা সিলেট ওসমানী মেডিকেলসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায় বুধবার সকাল ৮টায় আম্বরখানা সিএনজি ষ্টেন্ডে যাত্রী নিয়ে চৌকিদেখী বাঁশবাড়ির বাসিন্দা সিএনজি চালক রুবেল ও সালুটিকর এলাকান আঙ্গারজুর গ্রামের সিএনজি চালক রাসেল আহমদ ওরফে বিদ্যুৎ মিয়ার সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে রুবেল এর নেতৃত্বে মজিদ, লিটন, রাসেল, ইমাম, সাইফুল, মোস্তফা, হেলু মিয়া, রাব্বী, জসিম, তেরা মিয়া, শামীম, বাবুল, কাশিম, কাদির, ফেরদৌস, মোস্তাক সহ সংঘবদ্ধ শ্রমিক দল বিদ্যুৎ সহ গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেট সদরের শ্রমিকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও গ্রামের কামরান, আঙ্গারজুর গ্রামের রাসেল, জুয়েল, সাকির, নওয়াগাঁও গ্রামের জুনেদ, গোয়াইনঘাটের সিরাজ, নওয়াগাঁও গ্রামের জফুর, নন্দিরগাঁও’র আল আমিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আলামিন, পাবেল, বিলাল, সৈয়দ মিয়া, এনাম উদ্দিন, সমছু মেম্বার, কামাল উদ্দিন, জালাল উদ্দিন, অদুদ মিয়া, ফয়েজ মিয়া, ইনছান, ফয়জুল হাসান, আলা উদ্দিন, রাসেদ সহ অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হন।
এদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। খবর পেয়ে নন্দিরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস কামরুল হাসান (আমিরুল), জেলা শ্রমিক নেতা ও খাদিম নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সভাপতি তারা মিয়া, আম্বরখানা সালুটিকর শাখার সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান, গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাব সভাপতি এম এ মতিনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ওই সময় শ্রমিকরা জনান, যাত্রী নিয়ে রুবেল ও রাসেলের মধ্যে কথা কাটা হলে উপস্থিত চালকরা মীমাংসা করেন। কিন্তু রুবেল ঘটনার আধা ঘন্টার মধ্যে সংঘবদ্ধদলকে নিয়ে চৌকিদেখী সিএনজি পাম্পে অবস্থান করেন। এ সময় কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও সদরের উত্তর অংশের চালকদের গাড়ী দেখেই হামলা চালান। দফায় দফায় হামলায় বড় ধরনের আহতের ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া রুবেলের নেতৃত্বে কয়েকটি সিএনজি ব্যাটারী, চাকা, বিভিন্ন ড্রাইভারের ব্যবহৃত মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন। অবশেষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস কামরুল হাসান (আমিরুল) ও শ্রমিক নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ বিষয়ে জেলা শ্রমিক নেতা তারা মিয়া, সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুল মন্নান, ইউ.পি চেয়ারম্যান জানান, উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সালিশির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সড়কে গাড়ী চলাচল অব্যাহত আছে।