একে কুদরত পাশা::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর,দিরাই,বিশ্বম্ভরপুর,দোয়ারাবাজার ও জামালগঞ্জ উপজেলায় বজ্রাঘাতে ৫ জন নিহত, আহত ৪ জন। জানা যায়, দিরাই উপজেলায় বসতবাড়ির পাশের খলায় (ধান শুকানোর স্থান) ধান দেখতে গিয়ে রাত ৩ ঘটিকার সময় বজ্রাঘাতে হাজী মুসলিম মিয়া (৭৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত্রে এ ঘটনা ঘটে। হাজী মুসলিম মিয়া উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের টংগর গ্রামের বাসিন্দা ।তাহিরপুর শনির হাওরে বজ্রাঘাতে নুর হোসেন(২৮) নামে একজন কৃষক নিহত হয়েছে। দুপুর ১২ ঘটিকায় হাওরে ধান খেত দেখতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। তার বাবার নাম মুক্তুল হোসেন। তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের ভাটি তাহিরপুর গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার দুপুরে ভাটিতাহিরপুর গ্রামের মুক্তুল হোসেন গ্রামের পার্শবর্তী শনির হাও রে নিজের খামারের হাস চড়াতে যান। সেখানে ধান ক্ষেতে কাজ করতে যান তারই ভাই ও স্বজনরা। এসময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে তার স্বজনরা লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা পুর্নেন্দু দেব লাশ দেখতে যান।বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি(তদন্ত) নব গোপাল জানান, উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের পুরানগাও গ্রামের শাহানা বানু বাড়ির আঙিনায় কাজ করছিলেন। এসময় বজ্রপাতের ঘটনায় তিনি গুরুত্বর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে স্বজনরা বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা  স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চ িকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।দোয়ারাবাজার থানার ওসি সুশিল রঞ্জন দাস জানান, ডুববন্দ গ্রামের আসাদ আলীর শিশু পুত্র ফেরদৌস বাড়ির পার্শবর্তী খালে জাল দিয়ে মাছ ধরছিল। এসময় বজপ্রাতে সে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তার লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
জামালগঞ্জে বজ্রাঘাতে ৪ জন আহত হয়েছে। সোমবার রাতে বাড়ীর পাশে ধানের খলায় পাহারারত থাকা অবস্থায় একই গ্রামের ৩ জন আহত হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সদর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের আল আমীনের পুত্র শাহিন (১০) বজ্রাঘাতে আহত হয়। আহত শাহিন কে জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হটমারা গ্রামের অপর আহত ৩ জনের খবর ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম নিশ্চিত করেছেন। ফেনারবাঁক ইউনিয়নের হটামারা গ্রামের ওয়াহিদ আলীর পুত্র-তৈয়বুর রহমান(১৫), একই গ্রামের আব্দুল আহাদের পুত্র আব্দুর রহমান(১৬), সাহেব আলীর পুত্র নবী হোসেন(১২) আহত হয়। শরীরের অনেক জায়গায় বজ্রাঘাতে জলসে যায়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn