বার্তা ডেক্সঃঃ সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বৃষ্টি কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। তবে মানুষের বাড়িঘর ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো বন্যার পানি আছে। রোববার (১৪ জুলাই) পানি উন্নয়ন বোর্ডের  নির্বাহী  প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক ভুইয়া বলেন, বন্যার পানি ধীর গতিতে কমছে। বৃষ্টি হলেই পানি বেড়ে যাচ্ছে। তবে আগের তুলনায় বৃষ্টিপাত অনেক কমে গেছে। পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে বেশ কিছু দিন সময় লাগবে। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার কমেছে। জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের হিসেব মতে শনিবার (১৩ জুলাই) পর্যন্ত ১৪ হাজার ৫০০টি ঘরবাড়িতে বন্যার পানি ঢুকেছে। আজ (১৪ জুলাই) পর্যন্ত সারা জেলায় ৩০০ টন চাল, ৩ হাজার ৭৬৫ প্যাকেট শুকনো খাবার ও নগদ আড়াই লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।  জেলায় দুর্গত ২১ হাজার পরিবারের ১ লাখ ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তিনি আরও জানান, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে আরও নগদ ১০ লাখ টাকা, ৩০০ টন চাল ও ৪০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যায় সদর, বিশ্বম্ভরপুর ও দোয়ারাবাজার উপজেলার ৩০০ শতাধিক পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে বলেও তিনি জানান।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn