সুনামগঞ্জে ১-০ গোলে জয়লাভ করলো বাউল কামাল পাশা স্পোর্টিং ক্লাব
গানের দেশ সুনামগঞ্জে, বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বাউল শিল্পীদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি ক্রীড়া সংগঠনের জন্ম হয়েছে। সুনামগঞ্জের পঞ্চরত্ন বাউলের মধ্যমণি গানের সম্রাট বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন) এর নামে এই সংগঠনটির নামকরন করা হয় বাউল কামাল পাশা স্পোর্টিং ক্লাব হিসেবে। বাউল কামাল পাশার গান কামালগীতিকে সবার মাঝে তুলে ধরতে সুনামগঞ্জের পূর্ব সুলতানপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই সংগঠনটির। বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব সুলতানপুর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক বাউল আল-হেলাল এর জেষ্ট পুত্র কৃতি ফুটবলার মাহবুব আল মুবাশ্বিরের নেতৃত্বে এই ক্লাব গঠন করা হয়। ক্রীড়া সংগঠনটির জন্মদিনে ২২ জুন মঙ্গলবার বিকেলে সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ২য় দিনের তৃতীয় ম্যাচে এই দলটি ষোলঘর স্পোর্টিং ক্লাব একাদশ কে ১-০ গোলে হারিয়ে জয়লাভ করেছে।
বাউল কামাল পাশা স্পোর্টিং ক্লাবের খেলোয়াড়রা হচ্ছেন, তৈয়বুর রহমান,মহিবুর রহমান,মাহবুব আল-মুবাশ্বির,মাহবুব মিয়া,কাউসার আলম,সুমন মিয়া.রাহাত আহমদ,পাপ্পু,সোহেল,জাকেরীন ও ফুয়াদ। প্রতিযোগীতায় প্রথমার্ধের ১০ মিনিটে মহিবুর রহমান দলের পক্ষে জয়সুচক গোলটি করেন।
জানা যায়,সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর নিবাসী ফুটবলার মরহুম জয়নাল আবেদীন ও অভি স্মরণে হাছননগর ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২১ এর আয়োজন করা হয়। ক্রীড়া সংগঠক মোঃ এরশাদ আলী,মোঃ জহির আলী,মোঃ শাহীন চৌধুরী,মোঃ ওয়াহিদ আলী,মোঃ রেজা মিয়া,মোঃ শাহেদ আলী,আ.ত.ম মিসবাহ,মোঃ বাবুল মিয়া,মোঃ শফিক মিয়া,শহীদুল কবির চৌধুরী সোহাগ,মোঃ শানই মিয়া,জালাল মিয়া,মোঃ মোশাররফ হোসেন,মোঃ জুনাব আলী,মোঃ সুজন আলী,মোঃ সৈকত আলী,মজনু মিয়া ও মুন্না মিয়াসহ এলাকার একদল ছাত্র যুবক এতে উদ্যোগ নেন।
বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদ এর সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মহিবুর রহমান তালুকদার বলেন,সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে ১৯০১ইং সনের ৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহন করেন। মৃত্যুবরন করেন ১৯৮৫ সালের ৬ মে তারিখে। আমরা এই মহান সংগীত সাধকের গান কামালগীতিকে সবার মাঝে তুলে ধরার লক্ষ্যে এবং প্রচার ও প্রসারে বাউল কামাল পাশা স্পোর্টিং ক্লাব গঠন করে প্রথম দিনের ম্যাচেই সফলতা অর্জন করেছি। ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই কামালগীতিকে নিয়ে।
বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদের আহবায়ক সাংবাদিক আল-হেলাল বলেন,রাজনীতি ক্রীড়া ধর্ম তথা জীবন ও জগতের প্রতিটি ক্ষেত্রে খেলা শব্দটি যেমন বিভিন্ন রূপ ও চরিত্রে ব্যবহৃত হয়েছে,তেমনি মরমী সংস্কৃতিতেও এ শব্দটির ব্যবহার হয়েছে। ছন্দ ও বাক্যের মারপ্যাচে এ শব্দটিকে সম্বল করে যিনি সমধূর সঙ্গীত রচনা করে সুনামগঞ্জের মরমী সংস্কৃতিতে কিংবদন্তী হয়ে আছেন তিনি হচ্ছেন গানের সম্রাট বাউল কামাল পাশা। আমরা তার স্মৃতিকে সবার মাঝে স্বমহিমায় উপস্থাপনের জন্যই কামাল পাশা স্পোর্টিং ক্লাব গঠন করেছি। তিনি খেলা শব্দ দ্বারা রচিত বাউল কামাল পাশার রচিত একটি গান পরিবেশন করেন।
“ট্রেনিং মাস্টার খুজে নিয়া শিখ রুল রেগুলেশন
কামিনীর ম্যাচক্যালাতে উনিয়ার যদি হবে মন।।
প্লে¬-গ্রাউন্ড হয় মনিপুরে,প্লে¬য়ার যত খেলা করে
নারী পুরুষ একাধারে সর্বদা কমপিটিশন।
মিষ্টার বলেন হেলো মিসেস গিভ মি ডানিং গোল্ডেন কেইছ
থাসিং মাত্র পুরুষ দিসেস গেটো ম্যান প্রেজেনটেশন।।
মদনা-নন্দ যৌবন সরকার,সুহৃদয় বিবেক হুশিয়ার
এই ৩ জন খেলার এজেন্টার মার্ক করেছে দেখবেশন।
হও যদি খেলার দিশারী গুরুকে বানাও সেক্রেটারী
সাজিয়া প্রেমের বৈরাগী লওরে প্রমু এ্যাডমিশন।।
সুইমিং বানিং ফুটবল ক্রিকেট ব্যাডমিন্টন আর হকি রকেট
নাবুঝিয়া খেলার মুল ফ্যাক্ট মিছমে এন্টি পারমিশন।
বিরোধে তোর স্ট্রং পার্টি মেয়েরুপে নেও কোয়ালিটি
নিতে যদি চাও ছেড়েটি সাজোরে রমনীর মতোন।।
রমনীর এগজিবিশনে প্লে¬ গ্রাউন্ড ফার্স্ট ডিবিশনে
পাশ করেছে সাধুজনে নিয়ে গুরুর আস্বাদন।
ঐ খেলায় যে হয় ফরোয়ার্ড সেপাবে অমূল্য ওয়ার্ড
কামাল বলে মন বেকুয়ার্ড তুমি যেমন নন পার্সন ”।।