সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সৃষ্ট বিশ্বালোচিত যত আন্দোলন
আরব বসন্ত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া প্রথম শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময়। এই আন্দোলনকে অনেকেই ‘আরব স্প্রিং’ বলে জানেন। তিউনিশিয়ার মোহামেদ বুয়াজিজি নামের এক ফেরিওয়ালা গায়ে আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ জানান শাসকের বিরুদ্ধে। এই প্রতিবাদ হয় ২০১০ সালে। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বেন আলির পতন হয়। মিশর, সিরিয়া, লিবিয়া, বাহরাইন, তিউনিশিয়া ও ইয়েমেনে প্রতিবাদ-আন্দোলন চরম রূপ ধারণ করে। তবে, আরব বসন্তের একটি ভয়াবহ রূপ ছিল ইসলামি জঙ্গিবাদ, তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের উত্থান।
নির্ভয়া কাণ্ডে প্রতিবাদ
দিল্লিতে বাসে গণধর্ষণের শিকার হন জ্যোতি নামের এক তরুণী। ঘটনাটি ঘটে ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর। চিকিত্সাধীন অবস্থায় ওই তরুণীর মৃত্যু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি ছড়ানোর পরপরই রাস্তায় নেমে আসে অসংখ্য মানুষ, গড়ে ওঠে তীব্র প্রতিবাদ। প্রতিবাদের ফলে ধর্ষণবিরোধী আইনেও কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়।
শাহবাগ আন্দোলন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে এবং কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে জড়ো হন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা। ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩-তে ফেসবুকে আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে আপামর জনতা নেমে আসেন রাস্তায়। তীব্র প্রতিবাদের সঙ্গে সঙ্গে দেশের অনেক স্থানেই গড়ে ওঠে গণজাগরণ মঞ্চ। আর একই বছরের ১২ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়।
ব্রিং ব্যাক আওয়ার গার্লস
বোকো হারাম নামের জঙ্গিগোষ্ঠী নাইজেরিয়ার একটি স্কুল থেকে প্রায় দুই শতাধিক ছাত্রীকে অপহরণ করে। ঘটনাটি ঘটে ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল। ঘটনার একদিন পর রিপোর্ট করে এএফপি। কিন্তু বিষয়টা বিশ্বের নজর কাড়তে পারেনি। পরবর্তীতে টুইটারে শুরু হয় বহুল আলোচিত #bringbackourgirls বা ‘আমাদের মেয়েদের ফিরিয়ে আনো’ প্রচারণা। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এই টুইট হয় ৫ লাখ বারম
আমব্রেলা রেভোলিউশন
২০১৪ সালে পূর্ণ গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দাবিতে হংকংয়ে ছাতা হাতে বিক্ষোভে অংশ নেয় সেখানকার শিক্ষার্থীরা। ছাতা হাতে তাদের এই প্রতিবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ‘আমব্রেলা রেভোলিউশন’ নামে।