যুক্তরাজ্যে স্থানীয় কাউন্সিলের ভোট ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-র পায়ের তলার মাটি আরো শক্ত করলো। কেউ কেউ এই কাউন্সিল ভোটকে ব্রেক্সিট ভোট বলেও সম্বোধন করছেন। এই ভোটের ফলাফলের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের সঙ্গে ব্রেক্সিট মীমাংসা করতে সুবিধা হবে থেরেসা মে-র। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসে কমপক্ষে পাঁচ হাজার কাউন্সিল আসনে ভোট হয়েছে । ব্রিটেনের দশটি কাউন্সিলের মধ্যে নয়টিই (ডর্সেট, এসেক্স, গ্লস্টারশায়ার, হ্যাম্পশায়ার, হার্টফোর্ডশায়ার, আইল অব ওয়াইট, লিঙ্কনশায়ার, সমারসেট এবং ওয়ারউইকশায়ার) গিয়েছে টোরিদের দখলে। ওয়েলসেও লাভের মুখ দেখেছে থেরেসার দল। কূটনীতিকদের মতে, স্বাভাবিক ভাবেই থেরেসার কাছে এটা সামান্য কাউন্সিলের ভোট ছিল না। আঞ্চলিক ভোটের ফল জাতীয় রাজনীতিতে তথা সাধারণ নির্বাচনে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে, সে বিশ্বাস রয়েছে।

পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে দাঁড়িয়ে ভোটারদের উদ্দেশে থেরেসা বলেছিলেন, ‘ব্রিটেনের জন্য লড়াই করতে আমায় সমর্থন করুন। শক্তিশালী এবং স্থায়ী নেতৃত্ব রয়েছে শুধু কনজারভেটিভ পার্টির অন্দরেই। ব্রেক্সিট-মীমাংসা মোটেই খুব সহজ হবে না। এরপরে যিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হবেন, তাকে ইইউ-এর ২৭ জন শাসকের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে। ভেবে দেখুন, আমি না বিরোধী লেবার নেতা জেরেমি করবিন কে সব চেয়ে ভাল মীমাংসা করতে পারবেন?’ নিজেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের মতো বজ্রকঠিন, আক্রমণাত্মক মনে করেন থেরেসা। ব্রিটেনের নির্বাচনকে ঘিরে সমীক্ষায় আভাষ মিলেছে, জেরেমি করবিনের দল লেবার পার্টি এবার ভয়ঙ্কর ভাবে হারবে। স্কটল্যান্ডেও ন্যাশনাল পার্টির কাছেও তারা হেরে যাবে বলেই ইঙ্গিত। সমীক্ষা অনুযায়ী, ওয়েলসে এই প্রথম কনজারভেটিভরা এগিয়ে আসবে। কারণ সেখানে ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট পড়েছিল। সব মিলিয়ে ১৯৮৩ সালের পরে লেবার পার্টির এমন দৈন্য দশা আর হয়েছে কিনা সন্দেহ।-ঢাকাটাইমস

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn