স্বেচ্ছাচারিতা হোক আমরা তা চাই না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘৯৬ সালের আগের চিত্রটা যদি দেখেন তাহলে দেখবেন তার পরে কিন্তু ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আমরা আওয়ামী লীগই কিন্তু বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। লক্ষ্য ছিল একটাই আরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, সেজন্য বেসরকারি খাতকে আমরা আরও বেশি সুযোগ করে দিয়েছি। কিন্তু সরকারকেও এখানে থাকতে হবে। কারণ, কোনো ক্ষেত্রেই কোনো স্বেচ্ছাচারিতা হোক আমরা তা চাই না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে সব মন্ত্রণালয়ের বিভাগ ও দফতরের সচিবদের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০১৭-১৮ (এনুয়াল পারফর্মেন্স এগ্রিমেন্ট-এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারি সম্পদের সদ্ব্যবহার, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো বার্ষিক কর্মসম্পাদক চুক্তি স্বাক্ষর করল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বাজেট পাস হবার পরপরই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এর ফলে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আরও বেশি সময় হাতে পাওয়া যাবে। তিনি এ বর্ষা মৌসুমে উন্নয়ন প্রকল্পের সব পেপারওয়ার্ক সম্পন্ন করার জন্যও সরকারি কর্মচারীদের নির্দেশনা প্রদান করেন। যাতে বর্ষা শেষ হলেই মাঠ পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার হিসেবে আমরা মনে করি যে, আমাদের একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকবে, দেশটাকে আমরা কীভাবে আরও উন্নত, সমৃদ্ধ করতে পারি। দেশকে বর্তমান বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, আপনাদের (সরকারি কর্মচারীরা) কর্মফলই আমাদেরকে মর্যাদার আসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি হচ্ছে সিভিল প্রশাসনের একটি অভ্যন্তরীণ কর্মকৌশল। এটি দেশের জনগণের কল্যাণে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে নিয়ে যেতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি দাফতরিক দায়বদ্ধতার স্মারক। এটির মাধ্যমে জনগণের কাছে সরকারের স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়। আমাদের জনগণের কাছে জাবাবদিহি করতে হয়, কারণ আমরা সরকারে আছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়নের বড় লক্ষ্য আয় বৈষম্য দূর করা, ধনী ও গরিবের বৈষম্য দূর করা এবং উন্নয়নটা শুধু শহরে হবে না, উন্নয়নটা একবারে গ্রাম থেকে উঠে আসবে। গ্রামের একেবারে মাঠ পর্যায়ের মানুষ সবরকম নাগরিক সুবিধা যাতে পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মাথায় রেখেই সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে আরও আন্তরিক হতে হবে। তিনি এ সম্পর্কে আরও বলেন, আমরা একুটু চাই, আমাদের প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা। সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জন এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রায় সাড়ে ছয় ভাগের ওপরে বাজেট বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ চার লাখ কোটি টাকার বাজেট দেবে এটা কখনো কেউ ভাবতেই পারেনি। এই সংখ্যাটি শুনলেই মাথা গরম হয়ে যাবার কথা যে, এত বড় বাজেট আমরা দিতে পারব কীভাবে। কিন্তু, আমরা এটি দিতে পেরেছি। এখন এটি বাস্তবায়নের সময়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংবিধানের ৩৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হচ্ছেন আপনারা। এখানে কিন্তু কর্মচারী বলা আছে। সেক্ষেত্রে আপনাদেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। দায়বদ্ধতা রয়েছে সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধতা রয়েছে জনগণের কাছে। কারণ, জনগণ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যা কামায় করে সেটা দিয়েই আজকে সকলের বেতন-ভাতা, যা কিছু তা হচ্ছে। জনগণের শ্রমেরই এই ফসল।
আজকের দিনটিকে বিশেষ তাৎপর্যমণ্ডিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনটি বিশেষ দিন। কারণ, নতুন বাজেট দেয়ার সঙ্গেসঙ্গেই, বাজেট পাস করলাম ২৯ জুন। আর আজকে ৬ জুলাই আমরা কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারলাম। আর জুন-জুলাইতে বর্ষাকাল সেহেতু এসময় পেপার ওয়ার্কগুলো যেন শেষ করে শীতের প্রায় ৬ মাস ফিল্ড ওয়ার্ক করা যায় সেজন্য আমাদের বাজেট প্রণয়ণের জন্য সংবিধানে এই সময়টি রাখা হয়েছে। এই সময়েই তিনি মাঠ পর্যায়েও কর্মসম্পাদন চুক্তিগুলো সেরে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট সচিবদের পরামর্শ দেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (নিরাপত্তা বিভাগ) ফরিদ উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এনএম জিয়াউল আলম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
স্বেচ্ছাচারিতা হোক আমরা তা চাই না : প্রধানমন্ত্রী দৈনিক সিলেট ডট কম : July 6, 2017 8:33 pm| সংবাদটি 52 বার পাঠ করা হয়েছে দৈনিকসিলেটডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘৯৬ সালের আগের চিত্রটা যদি দেখেন তাহলে দেখবেন তার পরে কিন্তু ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আমরা আওয়ামী লীগই কিন্তু বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। লক্ষ্য ছিল একটাই আরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, সেজন্য বেসরকারি খাতকে আমরা আরও বেশি সুযোগ করে দিয়েছি। কিন্তু সরকারকেও এখানে থাকতে হবে। কারণ, কোনো ক্ষেত্রেই কোনো স্বেচ্ছাচারিতা হোক আমরা তা চাই না।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে সব মন্ত্রণালয়ের বিভাগ ও দফতরের সচিবদের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০১৭-১৮ (এনুয়াল পারফর্মেন্স এগ্রিমেন্ট-এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারি সম্পদের সদ্ব্যবহার, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো বার্ষিক কর্মসম্পাদক চুক্তি স্বাক্ষর করল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বাজেট পাস হবার পরপরই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এর ফলে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আরও বেশি সময় হাতে পাওয়া যাবে। তিনি এ বর্ষা মৌসুমে উন্নয়ন প্রকল্পের সব পেপারওয়ার্ক সম্পন্ন করার জন্যও সরকারি কর্মচারীদের নির্দেশনা প্রদান করেন। যাতে বর্ষা শেষ হলেই মাঠ পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া যায়। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার হিসেবে আমরা মনে করি যে, আমাদের একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকবে, দেশটাকে আমরা কীভাবে আরও উন্নত, সমৃদ্ধ করতে পারি। দেশকে বর্তমান বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, আপনাদের (সরকারি কর্মচারীরা) কর্মফলই আমাদেরকে মর্যাদার আসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি হচ্ছে সিভিল প্রশাসনের একটি অভ্যন্তরীণ কর্মকৌশল। এটি দেশের জনগণের কল্যাণে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে নিয়ে যেতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি দাফতরিক দায়বদ্ধতার স্মারক। এটির মাধ্যমে জনগণের কাছে সরকারের স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়। আমাদের জনগণের কাছে জাবাবদিহি করতে হয়, কারণ আমরা সরকারে আছি। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়নের বড় লক্ষ্য আয় বৈষম্য দূর করা, ধনী ও গরিবের বৈষম্য দূর করা এবং উন্নয়নটা শুধু শহরে হবে না, উন্নয়নটা একবারে গ্রাম থেকে উঠে আসবে। গ্রামের একেবারে মাঠ পর্যায়ের মানুষ সবরকম নাগরিক সুবিধা যাতে পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মাথায় রেখেই সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে আরও আন্তরিক হতে হবে। তিনি এ সম্পর্কে আরও বলেন, আমরা একুটু চাই, আমাদের প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা। সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জন এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রায় সাড়ে ছয় ভাগের ওপরে বাজেট বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ চার লাখ কোটি টাকার বাজেট দেবে এটা কখনো কেউ ভাবতেই পারেনি। এই সংখ্যাটি শুনলেই মাথা গরম হয়ে যাবার কথা যে, এত বড় বাজেট আমরা দিতে পারব কীভাবে। কিন্তু, আমরা এটি দিতে পেরেছি। এখন এটি বাস্তবায়নের সময়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংবিধানের ৩৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হচ্ছেন আপনারা। এখানে কিন্তু কর্মচারী বলা আছে। সেক্ষেত্রে আপনাদেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। দায়বদ্ধতা রয়েছে সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধতা রয়েছে জনগণের কাছে। কারণ, জনগণ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যা কামায় করে সেটা দিয়েই আজকে সকলের বেতন-ভাতা, যা কিছু তা হচ্ছে। জনগণের শ্রমেরই এই ফসল। আজকের দিনটিকে বিশেষ তাৎপর্যমণ্ডিত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনটি বিশেষ দিন। কারণ, নতুন বাজেট দেয়ার সঙ্গেসঙ্গেই, বাজেট পাস করলাম ২৯ জুন। আর আজকে ৬ জুলাই আমরা কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারলাম। আর জুন-জুলাইতে বর্ষাকাল সেহেতু এসময় পেপার ওয়ার্কগুলো যেন শেষ করে শীতের প্রায় ৬ মাস ফিল্ড ওয়ার্ক করা যায় সেজন্য আমাদের বাজেট প্রণয়ণের জন্য সংবিধানে এই সময়টি রাখা হয়েছে। এই সময়েই তিনি মাঠ পর্যায়েও কর্মসম্পাদন চুক্তিগুলো সেরে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট সচিবদের পরামর্শ দেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (নিরাপত্তা বিভাগ) ফরিদ উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এনএম জিয়াউল আলম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।