হঠাৎ সৌদির প্রতিরক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন
বার্তা ডেস্ক: সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বেশ কয়েকজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন। যাদের মধ্যে রাজ পরিবারের দুইজন সদস্যও রয়েছেন। খবর বিবিসি’র রাজকীয় এক আদেশে ইয়েমেনে লড়াইরত সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর কমান্ডারের পদ থেকে প্রিন্স ফাহাদ বিন তুরকিকে অব্যাহতি দিয়েছেন সৌদি বাদশাহ। সেই সঙ্গে ফাহাদের ছেলে আবদুল আজিজ বিন ফাহাদকেও ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এই দুইজনসহ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরও কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের’ অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে ওই রাজকীয় আদেশে বলা হয়েছে। সরকারের ভেতর কথিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি অভিযান পরিচালনা করছেন বাদশাহর ছেলে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। যাকে সৌদি আরবের অঘোষিত শাসক বলে মনে করা হয়। তবে সমালোচকরা বলেন, শীর্ষ পদের এসব কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয়ার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে যুবরাজের ক্ষমতা গ্রহণের বাধাগুলো দূর করা। এর আগেও রাজপরিবারের অনেক সদস্যকে আটকের ঘটনা ঘটেছিল। পরবর্তীতে অর্থের বিনিময়ে তাদের বেশিরভাগকে ছেড়ে দেয়া হয়। ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর পঁয়ত্রিশ বছরের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রক্ষণশীল দেশ সৌদি আরবে বেশ কিছু অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংস্কার আনার কারণে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হন। তবে বেশ কিছু স্ক্যান্ডালেরও মুখোমুখি হতে হয় তাকে। যার মধ্যে রয়েছে ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ড এবং কানাডায় সাবেক একজন সৌদি গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে হত্যার কথিত অভিযোগ। ইয়েমেনে অব্যাহত যুদ্ধের জন্যও তার বিরুদ্ধে সমালোচনা রয়েছে, যেখানে সরকারপন্থী বাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে সৌদি আরব। নারীদের গাড়ি চালনা থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়া হলেও নারী অধিকার কর্মীদের ওপর বিরূপ আচরণের জন্যও তার সমালোচনা রয়েছে।