হত্যার আগে মাইক্রোর ভেতর সোনিয়াকে ধর্ষণ করে প্রেমিক
bartaadmin
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
হত্যার আগে মাইক্রোর ভেতর সোনিয়াকে ধর্ষণ করে প্রেমিক২০১৯-০৯-২৫T১৯:২৯:৫২+০০:০০
শিরোনাম, সমগ্র দেশ, সর্বশেষ, সর্বাধিক পঠিত
ফরিদপুর:ফরিদপুরের শহরতলীর তালতলা এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া আকলিমা আক্তার সোনিয়া (৩০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব ৮ ফরিদপুর কোম্পানি। হত্যার আগে সোনিয়াকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে ধর্ষণ করা হয়। এরপর হত্যা করে রাত ১১টার দিকে তালতলা এলাকায় লাশ ফেলে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। হত্যাকাণ্ডে জড়িত রাসেল দেওয়ান নামে একজনকে আটক করেছে র্যাব। এসময় ধর্ষণ ও হত্যায় ব্যবহৃত মাইক্রোটিও জব্দ করা হয়। বুধবার বিকেল ৩টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানায় র্যাব ৮ ফরিদপুরের স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার। তিনি জানান, সোনিয়ার লাশ উদ্ধার হওয়ার পরই ঘটনাটি নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। এক পর্যায়ে প্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাসেলকে আটক করা হয়। রাসেল ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আটক রাসেলের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার কালুখালী এলাকার পশ্চিম রতনদিয়া গ্রামে।
আটককৃত রাসেলের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, সোনিয়ার সাবেক স্বামীর সাথে যোগসাজশে তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে বর্তমান প্রেমিক। সেই মোতাবেক গত ১৯ সেপ্টেম্বর সোনিয়ার সাথে দেখা করে তার প্রেমিক। দেখা করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয় তাকে। প্রথমে তার প্রেমিক তাকে ধর্ষণ করে। এসময় সাবেক স্বামী মাইক্রোর ব্যাক ডালার মধ্যে লুকিয়ে ছিল। ধর্ষণ শেষে বের হয়ে সেও ধর্ষণ করতে চাইলে সোনিয়া চিৎকার-চেচামেচি শুরু করে। তখন শহরের অম্বিকাপুর এলাকার কোনো এক জায়গায় গাড়ি থামিয়ে মাইক্রোচালক রাসেলের সহায়তায়, প্রেমিক ও সাবেক স্বামী মিলে ছুরি দিয়ে মাথার পেছনে কোপ দিয়ে হত্যা করে সোনিয়াকে। হত্যা শেষে লাশ গাড়িতে নিয়েই তারা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে রাত ১১টার দিকে চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। বাকি দুই আসামিকে গ্রেফতারের স্বার্থে প্রেমিক ও স্বামীর নাম পরিচয় গোপন রেখেছে র্যাব।
উল্লেখ, গত ২০ সেপ্টেম্বর তালতলা এলাকা থেকে চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের জমাদ্দার ডাঙ্গী গ্রামের আব্দুল ওহাব শেখের মেয়ে আকলিমা আক্তার সোনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে একটি হত্যা মামলা করে সোনিয়ার বাবা।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৭০ বার