হাওরে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি মামলা চলবে-আদালত
হাওরে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলের ১৫ কর্মকর্তা ও ৪৬ ঠিকাদারসহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম চলবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্ হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, আবদুল বাসেত মজুমদার, আবদুল মতিন খসরু ও এ এম আমিন উদ্দিন। পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, ১২ ডিসেম্বর এক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মামলাটির কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। এর বিরুদ্ধে দুদকের আবেদনের পর আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ রুলের নিষ্পত্তি করতে হবে। ফলে এ মামলার কার্যক্রম চলতে এখন আর কোনো বাধা নেই। সুনামগঞ্জের বোরো ফসলহানির পর গত ২ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক ফারুক আহমদ বাদী হয়ে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি, অনিয়ম ও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, ঠিকাদারসহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি বাচ্চু মিয়া বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। এরিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ১২ ডিসেম্বর মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। একই সঙ্গে কেন এই মামলা বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন। দুদকের মামলায় পাউবোর ১৫ জন ছাড়াও সুনামগঞ্জের ১৩ জন, ঢাকার নয়জন, সিলেটের ছয়জন, কুমিল্লার তিনজন, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও সাতক্ষীরার দুজন করে এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, পটুয়াখালী, খুলনা ময়মনসিংহ, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গার একজন করে ঠিকাদারকে আসামি করা হয়।