১১ যাত্রী নিয়ে ইরানে তুর্কি বিমান বিধ্বস্ত
ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হর-ই-কুর্দের কাছে তুরস্কের একটি ব্যক্তিগত বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তুরস্কের বাসারান হোল্ডিংসের মালিকানাধীন বিমানটিতে থাকা ১১জন যাত্রীর ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি। রবিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সারজা বিমানবন্দর থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুল যাওয়ার পথে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে আইএসএনএ বার্তা সংস্থা এ খবর দিয়েছে।মুখপাত্র রেজা জাফরজাদেহ বিমানে ১১ জন আরোহী ছিল বলে ধারণা প্রকাশ করেছেন। তবে তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জানাতে পারেননি।ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, বিমানটি চাহারমহল এবং বখতিয়ারি প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শাহার-ই-কোর্দ শহরের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে।রাষ্ট্রীয় টিভিতে মুখপাত্র জাফরজাদেহ বিমান বিধ্বস্তের খবর নিশ্চিত করে জানিয়ে বলেন, “তুরস্কের ব্যক্তি মালিকানাধীন বিমানটি… আমাদের আকাশপথ দিয়ে যাওয়ার সময় রাডার থেকে হারিয়ে গেছে এবং শাহার-ই কোর্দ এর কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে।” তুরস্কের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক উদ্ধারকর্মীর বরাত দিয়ে বলা হয়, বিমানটি পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়। বিমানটি বিধ্বস্তের কারণ জানা যায়নি। উদ্ধারকর্মীরা বিমান বিধ্বস্তস্থলের কাছে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলেও এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় সেখানে পৌঁছানো কঠিন হচ্ছে।
ইরানে এর আগে গত মাসেও একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৬৫ জন নিহত হয়েছিল।তবে তুর্কি রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে নিহত ৮জনের মধ্যে একজন তুরস্কের শীর্ষ ব্যবসায়ী হুসেইন বাসারানের পরিবারের সদস্য।এছাড়া তুরস্কের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হুসেইন বাসারানের এক কন্যা তার আরও সাত বন্ধুর সঙ্গে দুবাইয়ে একটি অনুষ্ঠান শেষ করে তুরস্কে ফিরছিলেন।এর আগে ইরানের বেসামরিক বিমান সংস্থার এক মুখপাত্র রেজা জাফরজাদেহের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছিল, ‘একটি তুর্কি ব্যক্তিগত বিমান আমাদের আকাশসীমা অতিক্রম করার সময় রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। পরে বিমানটি শহর-ই-কুর্দের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি’।ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইএসএনএ’র খবরে জাফরদেহকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল, ধারণা করা হচ্ছে বিমানটিতে ১১ জন ছিল। জরুরি বিভাগের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে আইএসএনএ জানায়, বিমানটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল।