৩ দিন অনশনের পর বিয়ে
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে তিনদিন ধরে অনশনের পর বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন সেলিনা আক্তার শারমিন। বুধবার দুপুরে উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামে ময়নুল ইসলামের সঙ্গে এক লাখ টাকা দেনমোহরে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। শত শত উৎসুক জনতা এ জুটিকে একনজর দেখার জন্য ময়নুল ইসলামের বাড়িতে ভিড় করছে। মইনুল কামারগাঁও গ্রামের আবদুল খালিকের ছেলে। কামারগাঁওয়ে মঈনুল টেলিকম অ্যান্ড ডিজিটাল স্টুডিও রয়েছে তার। আর সেলিনা আক্তার পাশের নুরগাঁও গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হুশিয়ার আলীর মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর ধরে মঈনুল ইসলামের সঙ্গে শারমিনের প্রেমের সম্পর্ক। রোববার দুপুরে মঈনুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে শারমিন বিয়ের চাপ দেয়। মঈনুল কোর্ট ম্যারেজের আশ্বাস দিলে এতে আপত্তি জানায় শারমিন। এ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বাগবিতণ্ডার পর মঈনুল তার এক ভাগ্নেকে দিয়ে শারমিনকে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ময়নুলদের বাড়ি গিয়ে বিয়ের দাবি জানালে তার অভিভাবকরা শারমিনের ওপর ক্ষিপ্ত হন। অবস্থা বেগতিক দেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান মঈনুল। তবে অনড় থাকেন প্রেমিকা শারমিন। বিয়ের দাবিতে মঈনুলের বাড়িতেই অনশন শুরু করেন তিনি। এ নিয়ে সোমবার রাতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ এওলা মিয়া, ইউপি সদস্যসহ এলাকার লোকজন সালিশে বসেন। সেখানে শারমিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ককে অস্বীকার করে মঈনুল এবং শারমিনকে বিয়ে করবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন। সালিশে কোনো সমাধান না হওয়ায় শারমিন ঘোষণা দেন, মঈনুলের সঙ্গে বিয়ে না হলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বুধবার দুপুরে তাদের বিয়ে হয়। ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ধর্মজিৎ সিনহা বলেন, বুধবার দুপুরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ বিষয়ে দীঘলবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ এওলা মিয়া বলেন, বিয়ের বিষয়টি সালিশে বসে সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। তবে লোকমুখে শুনেছি তাদের বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এতে সমস্যার সমাধান হয়ে গেল।