অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে হত্যা : আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
লক্ষ্মীপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই বছরের শিশুকন্যাকে হত্যার দায়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এ বন্দি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। রোববার (১ নভেম্বর) রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এ ফাঁসি কার্যকর করা হয় বলে সোমবার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন কারাগারটির জেলার মো. আবু সায়েম। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ব্যক্তি হলেন- লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার দক্ষিণ চরলরেন্স এলাকার মৃত শামসুল হক বাঘার ছেলে আবদুল গফুর (৪৭)। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এর জেলার মো. আবু সায়েম জানান, ২০০৬ সালে লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার দক্ষিণ চরলরেন্স এলাকায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই বছরের এক কন্যাশিশুকে হত্যা করে আবাদুল গফুর। পরে এ ঘটনায় রামগতি থানায় হত্যা মামলা করা হয়। এ মামলায় ২০০৮ সালে আদালত আবদুল গফুরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। এর পর আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করলেও তার মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করলেও তা খারিজ করে দেন। একপর্যায়ে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে রোববার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে আবদুল গফুরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে জল্লাদ ছিলেন শাহজাহান ভূঁইয়া। এ সময় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ও জেলারসহ ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে মরদেহ নিহতের বড় ভাই মো. আবদুল ও মো. হানিফের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।