সোমবার (৬ নভেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষের কার্যালয়ে সালমানকে নিয়ে আসেন স্বপ্না বেগম। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সালমানের বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার পৈন্দা গ্রামে। পুলিশ জানায়, সুনামগঞ্জে এক অটোরিকশাচালককে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ ছিল পুলিশের সোর্স সালমান বিরুদ্ধে। পুলিশ তাকে ধরার জন্য খুঁজছিল। অবশেষে এই সালমান ইসলামকে তার মা স্বপ্না বেগম নিজেই পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ই আগস্ট সুনামগঞ্জ পৌর শহরের একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে জগন্নাথপুর উপজেলার পূর্ব বুধারাইল গ্রামের সিএনজি অটোরিকশাচালক নূর মিয়াকে (৩৮) আটক করে পুলিশ। পুলিশ এ সময় তার অটোরিকশা থেকে একটি লোহার তৈরি পাইপগান উদ্ধার করে। এই ঘটনায় সুনামগঞ্জ সদর থানায় নূর মিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়। পরে পুলিশ জানতে পারে নূর মিয়া নির্দোষ। গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এক মাস ১১ দিন কারাভোগের পর ছাড়া পান নূর মিয়া। পুলিশ বলছে, অস্ত্র মামলায় নূর মিয়া, তার অন্য দুই চাচাত ভাই আকবুল মিয়া ও সুমিম মিয়াকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেছিলেন গ্রামের লন্ডনপ্রবাসী কয়েছ মিয়া, একই গ্রামের আনিসুর রহমান ও সালমান ইসলাম। পরিকল্পনা অনুযায়ী নূর মিয়াকে অস্ত্রসহ পুলিশের কাছে ধরিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তারা নিজেরাই ফেঁসে যান। ওই মামলায় কয়েছ মিয়া, আনিসুর রহমান ও সালমান ইসলামকে আসামি করা হয়। কয়েছ মিয়াকে গত ২৯ শে অক্টোবর সিলেট এম এ জি ওসমানী বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সালমান ইসলাম বলেন, আমি ভুল করেছি। মা ফোনে আমাকে আত্মসমর্পন করার কথা বললে আমি রাজি হই। আমি ভালো হতে চাই। এদিকে সালমানের মা স্বপ্না বেগম বলেন, সালমান আমার একমাত্র ছেলে। আমি চাই সে দোষ করে থাকলে তার শাস্তি হোক। সে যেন আর এমন অপরাধ না করে। এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ বলেন, পুলিশ বিষয়টি জানার পরই সালমানকে ধরার জন্য খুঁজছিল। আমরা সালমানের পরিবার বিশেষ করে তার মায়ের এই উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানাই। এখন তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn